Don't Miss
Home / শিল্প ও বাণিজ্য / বেড়েই চলছে শাকসবজির দাম : জনগণের নাভিশ্বাস

বেড়েই চলছে শাকসবজির দাম : জনগণের নাভিশ্বাস

এমএনএ অর্থনীতি রিপোর্ট : বাজারে মোটা চালের দাম ঊর্ধ্বগতির পর কয়েক সপ্তাহ থেকে বর্ধিত দাম রয়েছে স্থিতিশীল। কিন্তু শাকসবজির দাম বেশ বেড়েছে। বন্যার অজুহাতে অনেকদিন ধরে কিছুটা চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব সবজি। এরপরও গত সপ্তাহে নতুন করে দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মোটা চালের দাম এখনও নিম্নমধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।
এদিকে, নানা অজুহাতে সবজির দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সবমিলিয়ে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
সবজির দরবৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীরা বরাবরের মতো সরবরাহের ঘাটতিকে অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছেন। তারা বলছেন, ভারি বর্ষণ ও বন্যার কারণে অনেক সবজি ক্ষেত মরে গেছে। নতুন করে আবাদ করা সবজি এখনও পুরোপুরি আসেনি, ফলে দাম বাড়ছে।
আজ শনিবার মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ বাজারে পুঁইশাকের দর জানতে চান ক্রেতা সেলিনা সুলতানা। বিক্রেতা জানান, প্রতি আঁটি ৪০ টাকা। লাউশাকের আঁটিও ৪০ টাকা। সঙ্গে থাকা লালশাকের আঁটির দামও জানান ৩০ টাকা, পাটশাকের আঁটি ২০ টাকা, সবুজশাকের আঁটি ২৫ টাকা। তখন বাধ্য হয়েই তিনি এক আঁটি কলমিশাক কেনেন ২০ টাকা দিয়ে।
ক্ষুব্ধ এ ক্রেতা এমএনএকে বলেন, ‘বাজারে যা হচ্ছে সবই ব্যবসায়ীদের কারসাজি। একটু অজুহাত পেলেই দাম বাড়ানোর কৌশল নেন বিক্রেতারা। এসব শাকের আঁটি আগে ১৫-২৫ টাকার মধ্যে ছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে তা দ্বিগুণ হয়েছে। যদিও বন্যার পানি নেমে গেছে অনেকদিন আগেই। নতুন করে আবাদ করা সবজি এখন বাজারে আসছে। তাছাড়া বাজারে শাকসবজির অভাব নেই।’
বাজারে সরকারের কোনো মনিটরিং না থাকায় তারা নানা অজুহাতে অতিরিক্ত মুনাফা করছে বলেও জানান ওই ক্রেতা।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ৭০-৮০ টাকার নিচে মিলছে না তেমন কোনো সবজি। সিমের কেজি ১৮০-২০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও তা ১২০ টাকা ছিল। প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে বেগুন ধরনভেদে ৯০-১০০ টাকা হয়েছে। এখন গাজর ও টমেটো ১২০-১৪০ টাকা কেজি; যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। প্রতি কেজি বরবটি ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, পটোল ও করলা ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এ ছাড়া মরিচের ঝাল এখনও কমেনি। প্রতি কেজি ২৫০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে বিপাকে আলু উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকরা। বাজারে সব ধরনের শাকসবজির দাম চড়া হলেও কপাল মন্দ আলুর। এই সবজির দাম একই আছে। আবার বাজার ভেদে উল্টো কেজিতে ২/৩ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ২২/২৩ টাকায়। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের সবজি বিক্রেতা সামসুদ্দিন বাহার এমএনএকে বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বাড়ছে।’ তবে সরবরাহ ঘাটতির পক্ষে যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই তার মতো কোনো বিক্রেতার কাছে।
এদিকে, ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞায় বাজারে অন্য মাছের চাহিদা বেড়েছে। এতে দামও বেড়েছে কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা। প্রতি কেজি মাঝারি রুই মাছ ২৫০-৪০০ টাকা, কাতলা ২৮০-৩৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৪০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২৫০ টাকা, বোয়াল ৩০০ টাকা ও সিলভার কার্প ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, বাজারে কমেছে প্রায় সব ধরনের চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ধরনভেদে চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। চাল আমদানি বেড়ে যাওয়ার কারণে দর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
আজ শনিবার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট বাজারে চালের মানভেদে প্রতি কেজি দেশি ও আমদানি করা মোটা চাল ৪৫-৪৮ টাকা, বিআর-২৮ ৫২-৫৮ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬৫ টাকা ও নাজিরশাইল ৬৮-৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট বাজারের পাইকারি চালের আড়তে খুচরা বাজারের তুলনায় চাল ভেদে কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত দাম কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখানে খুচরা চাল বিক্রি হয় না। নূন্যতম এক বস্তা চাল কিনতে হবে। এখানে  বিভিন্ন মাপের ছোট-বড় বস্তায় চাল পাওয়া যায়।
তবে স্বস্তি রয়েছে মুরগির দামে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি সোনালি মুরগি আকারভেদে ১৮০-২৪০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা ও খাসি ৭০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
x

Check Also

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

এমএনএ শিল্প ও বাণিজ্য ডেস্কঃ রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ...