ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন বরিস জনসন
Posted by: News Desk
July 25, 2019
এমএএ ইন্টারন্যোশনাল ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন বরিস জনসন। লন্ডনে পার্লামেন্ট ভবনে গতকাল বুধবার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিসকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেন কেবিনেট সদস্যরা।
ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
পার্লামেন্টে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই রানীর সঙ্গে দেখা করতে বাকিংহাম প্যালেসে যান বরিস। পথে শত শত বিক্ষোভকারী তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পথে হাঁটছেন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা বরিস জনসন। গতকাল বুধবার ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে নিজের উদ্বোধনী বক্তৃতায় ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অবিশ্বাসী, আশঙ্কাকারী ও হতাশাবাদী, যারা বলেছে এটা করা সম্ভব না তারা ভুল। যদি বা কিন্তু নয়, আমি নিজেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিলাম।’
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাধনমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্রুত নিজের মন্ত্রিসভা গুছিয়ে নেবেন জনসন। এরই মধ্যে থেরেসা মে’র মন্ত্রিসভার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাদের আশঙ্কা ছিল, মতের মিল হবে না বিধায় তারা জনসনের অধীনে কাজ করতে পারবেন না।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ।
গতকাল বুধবার জনসন দায়িত্ব নেওয়ার প্রাক্কালে থেরেসা মে বিদায়কালে চোখের পানি যেন আর ধরে রাখতে পারছিলেন না। পার্লামেন্ট সদস্যদের সামনে তিনি খুবই আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। হাউস অব কমন্স থেকে মে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে এবং করতালি দিয়ে তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে।
এরপর ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে এর বাইরে ভাষণ দেন বরিস। এর আগে এখানে বিদায়ী ভাষণ ও পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এদিন মে সরকারের বেশ কয়েকজন কেবিনেট সদস্য পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে রয়েছেন চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ডও।
পার্লামেন্টে মে বলেন, আমি পার্লামেন্টের একজন সদস্য হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাব। বরিস জনসনের মতো একজনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পেরে আমি খুশি, যিনি যথাসময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) এবং দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কনজারভেটিভ পার্টির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোটে গত মঙ্গলবার দলের নতুন নেতা নির্বাচিত হন লন্ডনের সাবেক মেয়র জনসন। তিনি ৬৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
দলের নেতৃত্ব ছাড়ার সময়ই মে বলেছিলেন, নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরদিনই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। বিবিসি।
দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর ব্রিটিশ নিলেন বরিস জনসন 2019-07-25