ভূমিকম্পের আগেই মোবাইলে আসবে বার্তা!
Posted by: News Desk
January 24, 2019
এমএনএ রিপোর্ট : জাপানের মতো বাংলাদেশেও ভূমিকম্পের আগেই মোবাইলে আসবে সতর্ক বার্তা। এনিয়ে জাপানের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ। জাপান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশে মোবাইলে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পাওয়া যায় না। দেশটিতে ভূমিকম্পের ১০ সেকেন্ড আগে মোবাইলে একটি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল এসব কথা জানান।
শাহ কামাল বলেন, আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ‘১০৯০’ আছে। যে নম্বরে ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য দিতে পারি পাঁচ দিন আগে, বন্যার তথ্য দিতে পারি ১৫ দিন আগে।
‘কিন্তু ভূমিকম্পের বিষয়টা এখনও কোনো দেশ পারে না। শুধুমাত্র জাপান ১০ সেকেন্ড আগে মোবাইলে একটা অ্যালার্ট জারি করতে পারে। আমরা সেই প্রজেক্ট গ্রহণ করার জন্য জাপানের সঙ্গে জাইকা প্রজেক্টে কাজ করছি।’
ত্রাণ সচিব শাহ কামাল বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ১৬৯ কোটি টাকার ইক্যুপমেন্ট ক্রয় করে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসকে দিয়েছি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যখন চীন সফর করেছিলেন তখন চীনা সরকার ১শ’ কোটি টাকার অনুদান যন্ত্রপাতি দিয়েছিল, এটাও ফায়ার সার্ভিসকে দিয়েছি।
‘এছাড়া যাচাই-বাছাই করে এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে দুর্যোগ মোকাবেলায় ইক্যুপমেন্ট কেনার জন্য।’
তিনি বলেন, জাইকা প্রজেক্টের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা রিজার্ভ করা আছে, যদি মেগা কোনো ডিজাস্টার আছে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবো। না ঘটলে কোনো প্রকার অর্থ ব্যয় হবে না, সুদও দিতে হবে না।
ত্রাণ সচিব বলেন, ২০১৭ সালে বড় বড় পাঁচটি দুর্যোগ মোকাবেলা করা হয়েছে। এজন্য দেশকে রোল মডেল বলা হয়। আমাদের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তেজগাঁওয়ে জমি পেয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, আমাদের যে জনবল রয়েছে, তারা দুর্যোগ মোকাবেলায় যে পরিমাণে দক্ষ হয়েছে, যে পরিমাণ পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও বাস্তবানকারী হয়েছে, যে পরিমাণে যন্ত্রপাতি আছে, আমি মনে করি যথেষ্ট সক্ষমও।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাই রাইজ (বহুতল) ভবনে আগুন লাগলে আমাদের সক্ষমতা ছিলো না। এখন ২২তলা পর্যন্ত অ্যাক্সেস করার মতো ক্যাপাসিটি রয়েছে।
ভূমিকম্পের আগেই আসবে বার্তা মোবাইলে 2019-01-24