এমএনএ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : মিসরীয় খ্রিষ্টানদের বহনকারী একটি বাসে বন্দুকধারীদের গুলিতে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার মিনিয়া প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। খবর এএফপি ও আল-জাজিরার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খালেদ মোজাহেদ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, মিনিয়া প্রদেশে ওই হামলায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসটি মিনিয়া প্রদেশের সেন্ট স্যামুয়েল আশ্রমে যাচ্ছিল। পথে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলের দূরত্ব রাজধানী কায়রো থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে।
গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের এপ্রিলে বোমা হামলা চালানোর পর মিনিয়া প্রদেশে মিসরীয় কপটিক খ্রিষ্টানদের ওপর এ হামলা চালানো হলো। আগের ওই বোমা হামলা দুটিরও দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ওই হামলায় বেশ কয়েকজন মিসরীয় কপটিক খ্রিষ্টান নিহত হন।
ওই দুটি হামলার পর আইএস কপটিক খ্রিষ্টানদের ওপর আরও হামলা চালানোর হুমকি দেয়। মিসরের নয় কোটি জনসংখ্যার ১০ শতাংশ কপটিক খ্রিষ্টান।
ডিসেম্বরের ওই হামলাটি চালানো হয় কায়রোর একটি গির্জায়। আত্মঘাতী ওই বোমা হামলায় নিহত হয় ২৯ জন। ১১ এপ্রিল কায়রোর উত্তরে দুটি গির্জায় বোমা হামলায় নিহত হয় ৪৬ জন। দেশটির কপটিক খ্রিষ্টানদের ওপর ওটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাসটি স্থানীয় সেন্ট স্যামুয়েল এর মঠে প্রার্থনার জন্য যাচ্ছিল। এ সময় আট থেকে দশজন মুখোশধারী তাদের বাসটি থামায় এবং এলোপাথাড়ী গুলি চালায়। তাদের সবার পরনে সামরিক পোশাক ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।