মিয়ানমার উপকূলে রহস্যময় ভুতুড়ে জাহাজ
Posted by: News Desk
September 1, 2018
এমএনএ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনের কাছে সমুদ্র উপকূলে একটি রহস্যময় ভুতুড়ে জাহাজ ভেসে এসেছে। দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের কাছে গত সপ্তাহে প্রথম জেলেদের চোখে পড়ে জাহাজটি। পরে তারা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। খবর বিবিসির
এখন মরচে ধরা বিশাল আকৃতির ওই রহস্যময় জাহাজটিতে গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অনুসন্ধান চালায়। জাহাজটিতে কোনো নাবিক বা পণ্য নেই।
জাহাজটি কী করে মিয়ানমারের জলসীমায় গিয়েছে, এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছে তারা।
ইয়াঙ্গুন পুলিশ জানায়, ৫৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের বিশাল এই জাহাজের নাম ‘স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি ১৬০০’। ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি যে অনেক পুরনো তা এর গায়ে মরিচা পড়া দেখে বোঝা যায়।
মিয়ানমারের জলসীমায় এবারই প্রথম এ ধরনের ভুতুড়ে জাহাজের সন্ধান পাওয়া গেল।
বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলের খবরাখবর দেওয়া মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি ১৬০০ নামের জাহাজটি ২০০১ সালে নির্মিত হয়। কনটেইনার পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত এ জাহাজের দৈর্ঘ্য ১৭৭ মিটারেরও বেশি।
জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান রেকর্ড করা হয় ২০০৯ সালে, তাইওয়ান উপকূলে। নয় বছর পর ইয়াঙ্গুনের কাছে এর খোঁজ মিলল।
ইয়াঙ্গুনের কাছে আটকা পড়া স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি ১৬০০-কে এখনো কাজ চালানোর মত সচল জাহাজ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন মিয়ানমারের নাবিকদের স্বতন্ত্র একটি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অং কিয়াও লিন।
মিয়ানমার টাইমসকে জাহাজটি সম্প্রতি পরিত্যক্ত হয়েছে বলেও ধারণা দিয়েছেন তিনি। অবশ্যই এর কোনো কারণ রয়েছে, সন্দেহ লিনের।
ইন্ডিপেনডেন্ট ফেডারেশন অব মিয়ানমার সিফারার্সের জেনারেল সেক্রেটারি আং কিউ লিন বলেন, জাহাজটি এখনও ব্যবহার উপযোগী। সম্প্রতি এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর পিছনে কোনো কারণ থাকতে পারে।
মেরিন ট্র্যাফিক ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ২০১১ সালে জাহাজটি নির্মিত হয়েছিল।
একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান মতে জানা যায় সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া জাহাজগুলোর বেশিরভাগই কোন কোনভাবে মারাত্মক ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
জাহাজ উপকূলে মিয়ানমার রহস্যময় ভুতুড়ে 2018-09-01