Don't Miss
Home / রাজনীতি / সরকার / মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই না : শেখ হাসিনা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই না : শেখ হাসিনা

এমএনএ রিপোর্ট  : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। আমি মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যেতে চাই না।

আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা সারাটা জীবন বাংলার মানুষকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছেন, তাদের জীবনে পরিবর্তন আনার, ক্ষুধার হাত থেকে মুক্ত করার, শোষণের হাত থেকে মুক্ত করার— সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেই আমি কাজ করছি। আমার জীবনের এই একটাই লক্ষ্য।

তিনি বলেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাত এসেছে। কিন্তু আমি একটা লক্ষ্য নিয়েই চলেছি— আমার বাবার স্বপ্ন আমাকে পূরণ করতেই হবে।

বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে ভাষণ দিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি লোকে লোকারণ্য উদ্যানে গিয়ে পৌঁছান। শেখ হাসিনা মঞ্চে উঠতেই স্লোগানে আর হর্ষধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এই ঐতিহাসিক উদ্যান।

স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন, বাংলাদেশের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন, স্বাধীনতার দেশের মানুষ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য ত্যাগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যা কিছু অর্জন করেছে, মহান ত্যাগ করেই অর্জন করেছে।

ভাষণের শুরুতেই তাঁকে দেওয়া সংবর্ধনার জবাব প্রধানমন্ত্রী দেন এভাবে, আমি জনগণের সেবক। জনগণ কী পেল, সেটাই আমার বড় চাওয়া। আমার সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেখতে চাই। এটাই বড় চাওয়া।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার জীবনের লক্ষ্য একটিই, বাংলার মানুষের উন্নয়ন। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, বাংলাদেশ। সাধারণ মানুষের ভাগ্য যেদিন গড়তে পারব, সেদিনই নিজেকে সফল মনে করব।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁর দল আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ইতিহাসও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। এই দলটির প্রতীক নৌকার বিজয়ের সঙ্গে দেশের মানুষের বিজয় ও অর্জন যে সম্পর্কিত, সে কথাই তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার রাজনীতি দেশের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের জন্য। তাদের ভাগ্য যেদিন গড়তে পারবো, সেদিন নিজেকে স্বার্থক মনে করবো।

বক্তৃতার শুরুতেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ মণিহার আমায় নাহি সাজে..।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, আমার সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই। আমি জনগণের সেবক। জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি। জনগণ কতটুকু পেল সেটাই বড়। এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই আমার নেই।

এই সংবর্ধনা আমি উৎসর্গ করছি বাংলার মানুষকে, উৎসর্গ করছি এদেশের জনগণকে, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী এবং ২১ সালে সুবর্ণজয়ন্তিতে বাংলাদেশে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পালন করবো। এ সময় বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম শহরের মতো নাগরিক সুযোগ সুবিধা পাবে। তারা উন্নত জীবন ধারণ করবেন। এই লক্ষ্য নিয়ে অামরা কাজ করে যাচ্ছি। এ দেশকে অাগামীতে কেমন করে উন্নত করবো সে পরিকল্পনা অামরা করছি। দেশকে নিয়ে জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বো অামরা।

দেশের সব অর্জন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই হয়ে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশের জনগণ কিছু পায়, দেশের উন্নয়ন হয়। ২১ বছর এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের সরকারের উচ্চ পদে চাকরি দিয়েছিল। আমরা ট্রাইব্যুনাল করে সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কলুষমুক্ত হয়েছে। এই অপরাধীদের যখন আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে পেরেছি তখনই যেন আমাদের উন্নয়নের দ্বার খুলে যায়— এটাই আমার উপলব্ধি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, নৌকা ঠেকাতে হবে কেন? শ্রাবণ শেষে বন্যা হবে অাপনাদের নৌকায় চড়তেই হবে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছিল বলেই স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়েছিল বলেই অাজ দেশে এতো উন্নয়ন। শেখ হাসিনা বলেন, মৃত্যুকে ভয় পাই না। যতক্ষণ বেঁচে অাছি ততক্ষণ মানুষের জন্য কাজ করে যাব। দেশের ও মানুষের উন্নয়নে বাবা বেহেস্ত থেকে দেখে যেন শান্তি পায়।

নৌকায় ভোট দিলেই দেশের উন্নয়ন হয় একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই দেশে দারিদ্র্যের হার ২২ ভাগে নেমে এসেছে। আমরা এটা আরও কমাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলন শুরু করে। কারণ নির্বাচন ঠেকাতে পারলে আবার অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু দেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও ঠেকিয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে। আবার বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বিএনপি আবার মাঝপথে সেটিকে বন্ধ করে দেয়। কারণ তারা দ্বিতীয় দফায় আবার ক্ষমতায় আসে। যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই আমাদের নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দেয়।

তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের আগে বাঙালি ছিল বীরের জাতি। আর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই বাঙালি হলো খুনি জাতি। কলকাতায় আমরা যে বাসায় ছিলাম সেখানে এক কাপড় বিক্রেতা আসতেন। তিনি আমাদের বললেন- আপনারা কীসের জাতি? যিনি আপনাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাকে হত্যা করল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্মান হারিয়েছি।

তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালে সুইডেনে আমার বোন রেহানা প্রথম জাতির পিতা হত্যার বিচার দাবি করে। ১৯৮০ সালে আমি লন্ডনে এক সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবিসহ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যার বিচার শুরু করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করেছি। কিন্তু জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিল।

দুই মেয়াদের সরকারে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৬৮ বছরের সমস্যা ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার সমস্যা সমাধান করেছি। আজ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। বাংলাদেশে ৫৩তম দেশ হিসেবে যোগ দিয়েছে পরমাণু ক্লাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। এর মধ্য দিয়ে স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নানা অর্জনের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বমন্দার প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে দিইনি। প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৭ ভাগে উন্নীত হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলে কারও কারও আঁতে ঘা লাগে।

শেখ হাসিনার ভাষণে আসে জঙ্গিবাদ ও মাদক প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের যে বীজ বিএনপি বপন করেছিল, তা থেকে মুক্ত করতে চেষ্টা চলছে। মাদককে দেশ ও সমাজের জন্য ভয়াবহ বিষ হিসেবে তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, মাদকের প্রভাব থেকে সমাজ ও দেশকে মুক্ত করতে হবে।

দুস্থ ও প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় ৪০ লাখ বয়স্ক মানুষ, ১২ লাখ বিধবা, ১০ লাখ প্রতিবন্ধীকে প্রতি মাসে ৭০০ করে টাকা দেওয়া হচ্ছে।

সরকার ২ কোটি ৪ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয় বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, অনগ্রসর সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে যে ভাতা দেওয়া হয়, তা মুঠোফোনের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণের শেষ দিকে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি বরদাশত করব না। এগিয়ে চলার পথ যেন অব্যাহত রাখতে পারি, সে জন্য দেশের মানুষের দোয়া চাই।

প্রধানমন্ত্রীর আজকের এই সংবর্ধনা উপলক্ষে আজ সকাল থেকেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশ হতে থাকে। ছোট ছোট মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে অবস্থান শুরু করে।

প্রধানমন্ত্রী আসার বেশ আগেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছে গেছেন। বেলা দুইটায় সংবর্ধনার মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টার পর থেকে মিছিল আসা শুরু হয়। পিকআপ নিয়ে মিছিল করে নেতা-কর্মীরা ঢুকে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকাল থেকে কোনো বাস ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কাঁটাবন দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সমাবেশে যেসব গাড়ি আসে, সেগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হয় মল চত্বরে। বাংলামোটর এলাকায় ডাইভারশন দেওয়ার কথা থাকলেও সকালে রাস্তায় যানজট কম থাকায় সেখানে ডাইভারশন দেওয়া হয়নি।

দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকেই সংবর্ধনাস্থলের আশপাশের প্রায় সব সড়কে ডাইভারশন দেওয়া হয়। বেলা একটার পর থেকে ভিআইপি রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পল্টন, মৎস্য ভবন এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় যানজট দেখা দেয়।

শাহবাগ এলাকায় ছোট ছোট মিছিলে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে। এসব ব্যানারে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে নানা অর্জনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এ সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকা থেকে পরিবহনযোগে ও হেঁটে অসংখ্য নেতা-কর্মী, বিশিষ্ট ব্যক্তি, পেশাজীবী ও সাধারণ জনগণ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়। এই সমাবেশে উপলক্ষে ব্যাপক শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ।

স্বল্পোন্নত থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশ বিজয়, অস্ট্রেলিয়ায় গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ও ভারতের আসানসোলে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট ডিগ্রি অর্জন করায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীকে এ গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।

গণসংবর্ধনার শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রযুক্তি ব্যবহার করেও উন্নয়নের ভিডিওচিত্র অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির পক্ষ থেকে সরকারের অর্জন ও উন্নয়ন সংবলিত একটি প্রকাশনা সবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে একটি অভিনন্দনপত্র পড়ে শোনান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার ঢল নামে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এ উদ্যানে যোগ দেন। ক্ষমতাসীন দলের ব্যানারে আয়োজিত হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।

x

Check Also

২৬ মার্চ

আজ ২৬ মার্চ – মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

এমএনএ ফিচার ডেস্কঃ আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালির ইতিহাসে গৌরবময় একদিন। ...