Don't Miss
Home / জাতীয় / বিবিধ / যেকোনো সময় হুজি নেতাদের ফাঁসি

যেকোনো সময় হুজি নেতাদের ফাঁসি

এমএনএ রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তার সহযোগীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

ফাঁসি কার্যকরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। কারাগার এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। সিলেট কারাগারে বন্দি আছেন তার আরেক সহযোগী দেলোয়ার হোসেন রিপন।

শেষবারের মতো তাদের সঙ্গে দেখা করতে স্বজনদের ডেকে পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসি কার্যকরের আগে এটাই কারাবিধির দৃশ্যমান শেষ ধাপ বলে বিবেচনা করা হয়।

মুফতি হান্নানের সঙ্গে দেখা করতে রাতে কোটালীপাড়া থেকে কাশিমপুরে আসছেন তার স্বজনরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কাশিমপুর কারাগার থেকে আসা কারা কর্তৃপক্ষের চিঠি মুফতি হান্নানের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কোটালীপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নানের আরেক সহযোগী জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সেখানে যেকোনো মুহুর্তে তারও ফাঁসি কর্যকর হতে পারে।

ইতিমধ্যে রিপনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তার মা-বাবা ও স্বজনরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর কারাগারে এসে রিপনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তার বাবা আবু ইউসুফ, মা আজিজুন্নেছা, ভাই নাজমুল ইসলামসহ পরিবারের অন্য তিনজন সদস্য। তারা প্রায় ২৫ মিনিট রিপনের সঙ্গে ছিলেন।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, ফাঁসি কবে ও কখন কার্যকর হবে এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। জল্লাদকে প্রস্তত রাখা হয়েছে।

এদিকে আজ মঙ্গলবার বিকালে কাশিমপুর কারাগার ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, গাজীপুর কারা কমপ্লেক্স ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে পুরো এলাকা। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছে।

এদিকে ফাঁসির রায় কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল আরোহীদের থামিয়ে দেহ তল্লাশি করা হচ্ছে।

টঙ্গী থেকে বোর্ড বাজার, চান্দনা চৌরাস্তা, জেলা শহর, শিববাড়ি মোড়, কোনাবাড়িসহ ব্যস্ততম স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এতে পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত এবং আনোয়ার চৌধুরীসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

এ মামলার রায়ে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আপিল এবং রিভিউতেও তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে।

x

Check Also

ডিজি

স্বাস্থ্যে অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক হলেন ডা. খুরশীদ আলম

এমএনএ বিশেষ রিপোর্টঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি ...