এমএনএ রিপোর্ট : বনানীর আলোচিত রেইনট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের দেওয়া নোটিশের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই নোটিশের কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
আজ ২২ মে, সোমবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ওই নোটিশ অনুযায়ী জবাবদিহির জন্য আদনান হারুনের আগামীকাল মঙ্গলবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে যাওয়ার দিন ধার্য ছিল। এর ঠিক এক দিন আগে উচ্চ আদালত থেকে এই আদেশ এল।
আদালতে রেইনট্রি হোটেলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
গত ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রেইনট্রি হোটেলের এমডি শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুনকে হাজির হয়ে তার হোটেলে পাওয়া মদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়।
ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এমডি শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুন। সেই রিটের প্রেক্ষিতেই আদালত এই আদেশ দিলেন।
পরে আহসানুল করিম বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের দেওয়া নোটিশের কার্যকারিতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে আদনান হারুনকে কাল জবাবদিহির জন্য শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে যেতে হচ্ছে না।
আহসানুল করিম বলেন, আদনান হারুনকে ১৫ মে নোটিশ দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তাঁকে ২৩ মে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে যেতে বলা হয়েছিল। কাস্টমস ও মানি লন্ডারিং আইনে দেওয়া নোটিশে অ্যালকোহল সংরক্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদনান হারুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় পড়ে। এসব যুক্তি দেখিয়ে রিটটি করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, বনানীতে গত ২৮ মার্চ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার পর রেইনট্রি হোটেল আলোচনায় আসে। কারণ ওই হোটেলটিতেই আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ অন্যরা ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটান।
কাগজে-কলমে হোটেলটির মালিকানা আওয়ামী লীগের সাংসদ বজলুল হক হারুনের (বি এইচ হারুন) স্ত্রী, তিন ছেলে ও মেয়ের নামে। হোটেলের পরিচালকেরা হলেন বি এইচ হারুনের স্ত্রী মনিরা হারুন, তিন ছেলে শাহ মো. নাহিয়ান হারুন, শাহ মো. আদনান হারুন ও মাহির হারুন এবং মেয়ে হোমায়রা হারুন। আদনান হারুন হোটেলটির এমডি।
সম্প্রতি হোটেলটিতে শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালান। অভিযানের সময় একটি কক্ষ থেকে ১০ বোতল মদ পাওয়ার কথা জানান শুল্ক গোয়েন্দারা।