এমএনএ অর্থনীতি রিপোর্ট : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি -এর ব্যবস্থাপনাধীন ৪ হাজার কোটি টাকার আইসিবি ইউনিট ফান্ড আগামী ৬ মাসের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রতিষ্ঠানটিকে ফান্ডটির সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি আইসিবি এএমসিএলের অধীনে ছেড়ে দিতে মার্চের শেষে নির্দেশ দিয়েছে।
চার হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ মূল্যের বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড দেশের শেয়ারবাজারে একক বৃহত্তম ফান্ড। বর্তমানে এটি আইসিবির অধীনে পরিচালিত হচ্ছে, যা বিএসইসির মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ও আইসিবির সংশোধিত আইনের পরিপন্থী।
সূত্র জানায়, ফান্ডটি আইসিবি এএমসিএলের কাছে হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত নতুন করে কোনো ইউনিট বিক্রি না করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কমিশন।
অপর এক সূত্র জানিয়েছে, আইসিবি চাইলে কমিশনের অনুমতি নিয়ে ফান্ডটির ট্রাস্টি বা কাস্টডিয়ান হতে পারবে। একই সঙ্গে ফান্ডটি মিউচুয়াল ফান্ডের অধীনে নিবন্ধন করতে হবে। আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইফতেখার-উজ-জামান এ বিষয়ে বলেন, আইসিবি আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করবে না। এরই মধ্যে করণীয় নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা অনুযায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানিই শুধু মিউচুয়াল ফান্ড গঠন ও ব্যবস্থাপনা করতে পারে। আইসিবির এ লাইসেন্স নেই। আইসিবির আইন অনুযায়ী এমন লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনা করে থাকে। এর আগে আইসিবি সিরিজের আটটি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডও বেমেয়াদিতে রূপান্তর করে সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানির কাছে ছেড়ে দিয়েছে আইসিবি।
গত ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছর শেষে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৫২৮ টাকা। তবে বিনিয়োগকারীরা নিজের ইউনিট সার্টিফিকেট বিক্রি করতে চাইলে মাত্র ২২৫ টাকা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।