Don't Miss
Home / শিল্প ও বাণিজ্য / চট্টগ্রাম বন্দরে তেজস্ক্রিয় পদার্থযুক্ত কনটেইনার আটক

চট্টগ্রাম বন্দরে তেজস্ক্রিয় পদার্থযুক্ত কনটেইনার আটক

এমএনএ রিপোর্ট : চট্টগ্রাম বন্দরে তেজস্ক্রিয় পদার্থযুক্ত একটি কনটেইনার আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। দুই সপ্তাহ আগে আটকের পর কনটেইনারটি বন্দরের ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া আজ বৃহস্পতিবার তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকার সন্দেহে বন্দরে গ্যাসের দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এগুলোর নমুনা পরীক্ষা করতে চট্টগ্রাম পরমাণু শক্তি কেন্দ্রকে অবহিত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র চট্টগ্রামের পরিচালক ড. শাহাদাত হোসাইন বলেন, ‘ঈদের সপ্তাহখানেক আগে চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে সন্দেহভাজন কনটেইনারটি স্ক্যানিং করে আমরা সিজিএম-১৩৭ নামক তেজস্ক্রিয় মাত্রাতিরিক্ত পেয়েছি। এটি আরও গভীরভাবে নিরীক্ষণ করতে নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

কনটেইনারটি এখন বিশেষ সংরক্ষিত স্থানে থাকায় এটি থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর কোন আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।

সিজিএম-১৩৭ তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রসঙ্গে ড. শাহাদাত বলেন, ‘বাংলাদেশের কোন পণ্যে এমন তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকার কথা নয়। সাধারণত পারমাণবিক বিক্রিয়া থেকে এ ধরনের তেজস্ক্রিয় বের হয়। তারপরও আমরা যেহেতু এটির উপস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পেয়েছি তাই নিরাপদ স্থানে রেখে এটির আরও অধিকতর পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।’

দুটি ট্রাকে থাকা গ্যাসে তেজস্ক্রিয় উপাদান থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গ্যাস যে বালি দিয়ে তৈরি হয় সেখানে এমন তেজস্ক্রিয় উপাদান থাকতে পারে। তবে এটি মাত্রাতিরিক্ত কি-না তা পরীক্ষা করতে আগামী সপ্তাহে বন্দরে যাব আমরা।’

সংশ্লিষ্টরা জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের স্ক্যানিং মেশিনেই প্রথম সন্দেহভাজন কনটেইনারটি শনাক্ত হয়। পরে চট্টগ্রাম পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক দল গিয়ে আবারও কনটেইনারটি বিশেষ ব্যবস্থায় বাইরে থেকে স্ক্যানিং করে। তাদের এ পর্যবেক্ষণে নেতৃত্ব দেয় পরীক্ষণ কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন। তিনি প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে সিজিএম-১৩৭ নামক তেজস্ক্রিয় পদার্থ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পান। বিষয়টি আরও নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নমুনা সংগ্রহ করতে বলেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রধান ড. শাহাদাত।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল আবদুল গাফফার বলেন, ‘সন্দেহভাজন রপ্তোনি কনটেইনারটি শ্রীলঙ্কা হয়ে চীন যাওয়ার কথা ছিল। স্ক্যানিং মেশিনে সতর্ক বার্তা পাওয়ার পর আমরা এটি বিশেষ ব্যবস্থায় নিরাপদ স্থানে রেখেছি। এখান থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর কোন শঙ্কা নেই। কনটেইনারটিতে কী পরিমাণ তেজস্ক্রিয় রয়েছে তা নিশ্চিত হতে পরমাণু শক্তি কমিশনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।’

সংশ্লিষ্টরা জানায়, সিটাডেল গ্লোবাল করপোরেশন নামের একটি রপ্তোনিকারক প্রতিষ্ঠান জিংক ককসিট ঘোষণা দিয়ে কনটেইনারটি চীনে রপ্তোনির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে কনটেইনারটিতে অতিমাত্রার যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়া গেছে তা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে একটি উপাদান মাত্রাতিরিক্ত পাওয়ায় এটি আটক করা হয়েছে। তবে কনটেইনারটি নিরাপদ স্থানে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা আছে।

তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকা সন্দেহে দুই ট্রাক গ্যাস আটক করা প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. ক গাফফার বলেন, ‘গ্যাসে থাকা বিশেষ ধরনের বালিতে সহনীয় মাত্রার তেজস্ক্রিয় থাকে। এ দুটি ট্রাকে এ মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আছে কি-না তা খতিয়ে দেখতেও পরমাণু শক্তি কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

x

Check Also

রমজানে

আসন্ন রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

এমএনএ শিল্প ও বাণিজ্য ডেস্কঃ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘আসন্ন রমজানে কোনো পণ্যের ...