Don't Miss
Home / নির্বাচনী হালচাল / সিইসির মুখে জিয়াউর রহমানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

সিইসির মুখে জিয়াউর রহমানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

এমএনএ রিপোর্ট : বিএনপির সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা দলটির প্রতিষ্ঠাতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেছেন “জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই দেশে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ পেয়েছে।”
গতকাল রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সিইসি তার বক্তব্যে জিয়াউর রহমানের প্রশংসার পাশাপাশি খালেদা জিয়ার সরকারকে ‘প্রকৃত নতুন ধারার প্রবর্তক’ হিসেবেও অভিহিত করেন।
বেলা ১১টায় এ সংলাপ শুরু হয়ে আড়াই ঘণ্টার মতো চলে। সিইসি তার সূচনা বক্তব্যে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার আমলের বিভিন্ন ইতিবাচক কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। এ সময় কমিশনের অন্য চার সদস্যসহ ইসি কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। সংলাপে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
সিইসি নুরুল হুদা বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে, দলনেতা হিসেবে জিয়াউর রহমান ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি প্রায় নয় বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। পরে ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে ২১০ আসনে জয়ী হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে।
সংলাপে অংশ নেওয়া উপস্থিত বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আজকের সংলাপে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের অনেকেই সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে সংসদ পরিচালনা করেছেন। অনেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রেখেছেন। আপনাদের অনেকের অধীনে আমি চাকরি করার সুযোগ পেয়েছি।
বিএনপি সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে সিইসি বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে বহুবিধ ও প্রকৃত নতুন ধারার প্রবর্তন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, পৃথক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন গঠন, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠা, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, আইন কমিশন গঠন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছরে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রম। তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। তাদের সফল রাষ্ট্র পরিচালনার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বৃহৎ রাজনৈতিক দল পরিচালনায় তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আজকের সংলাপের দিকে জাতি তাকিয়ে রয়েছে। নির্বাচন কমিশন অধীর আগ্রহ ও অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে, খুব ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করছে। কমিশন বিএনপির সঙ্গে সফল সংলাপ প্রত্যাশা করে। ইসির এই সংলাপে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করেন সিইসি কে. এম. নুরুল হুদা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এএসএম আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিউল্লাহ, আবদুর রশীদ সরকার ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
x

Check Also

রাত পোহালেই ৬০ পৌরসভার নির্বাচন

এমএনএ সংবাদ ডেস্ক : দ্বিতীয় ধাপে আগামীকাল শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দেশের ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত ...