Don't Miss
Home / ফিচার / বিবিধ / অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত জাবি ক্যাম্পাস

অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত জাবি ক্যাম্পাস

এমএনএ ফিচার ডেস্ক : অতিথি পাখির আগমনে কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস। হাজার হাজার পাখির জলকেলির শব্দে মুখরিত ক্যাম্পাসের জলাশয়গুলো।
শান্ত পানিতে লাল শাপলার বুক চিরে মাথা ডুবিয়ে ডুব, সাঁতার প্রতিযোগিতা, ডানা ঝাপটে উড়ে বেড়াচ্ছে অতিথি পাখিরা। সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্যটা হচ্ছে একটু সময় থেমে থেমে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি পানিতে নামছে আবার উড়ে যাচ্ছে।
হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আসা অতিথি পাখির সৌন্দর্যে মুগ্ধ পাখি প্রেমিকরা। প্রতিদিন বিকালে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। পরিযায়ী পাখির কিচির-মিচির আর শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ক্যাম্পাসকে পরিণত করে উৎসবের কেন্দ্র হিসেবে।
ছুটির দিনগুলোতে বেশি সংখ্যক পাখি প্রেমির আগমন ঘটে। আসে বিদেশি পাখি প্রেমিকরা। দর্শনার্থীদের আপ্যায়নে লেকের পাড়ে পিঠার পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। নানা রকমের সাজে সজ্জিত দোকান গুলো। সব মিলিয়ে ক্যাম্পাস এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন লেকে খুব কাছ থেকে পরিযায়ী পাখি দেখে মুগ্ধ হন দর্শনার্থীরা।
জানা যায়, মূলত ক্যাম্পাসে দুই ধরনের পাখির আগমন ঘটে। এক ধরনের পাখি ডাঙায়, শুকনো দু‘স্থানেই থাকে। আরেক ধরনের পাখি পানিতে থাকে।
সাধারণত এ দেশে ৩০-৩৫ প্রজাতির অতিথি পাখি আসে। এদের বেশির ভাগই হাঁস জাতীয় ও পানিতে বসবাস করে। এর মধ্যে সরালি, পচার্ড, ফ্লাইফেচার, গার্গেনি, ছোট জিরিয়া, পান্তামুখী, পাতারি, মুরগ্যাধি, কোম্বাডাক, পাতারী হাঁস, জলকুক্কুট, খয়রা ও কামপাখি অন্যতম।
এছাড়া মানিকজোড়, কলাই, ছোট নগ, জলপিপি, নাকতা, খঞ্জনা, চিতাটুপি, লাল গুড়গুটি, বামুনিয়া হাঁস, লাল গুড়গুটি, নর্দানপিনটেল ও কাস্তে চাড়া প্রভৃতি পাখিও আসে।
এরা ডানায় ভর করে সূদুর সাইবেরিয়া থেকে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এ অঞ্চলে আসে।
প্রাণীবিদ্যা বিভাগের গবেষণায় দেখে গেছে, এ দেশে ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ৭৬টি প্রজাতির পাখি ছিল। পরবর্তীতে নব্বইয়ের দশকে পাখি সচেতনা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ১৮৯টি প্রজাতির পাখি এখন দেখা যায়।
বর্তমান ক্যাম্পাসে ছোট-বড় মিলে ১২-১৪টি লেক রয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রশাসনিক ভবনের সামনে, সুইমিং পুল সংলগ্ন লেকে এবং জাহানারা ইমাম ও প্রীতিলতা হল সংলগ্ন দুটি লেকে অতিথি পাখির আনাগোনা বেশি।
অতিথি পাখি আসায় লেকগুলোকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাখিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। যার মধ্যে রয়েছে ব্যানার, সাইনবোর্ডের মাধ্যমে সতর্ককরণ, জলাশয়গুলোতে মাছ ধরা নিষেধসহ আরও নানা ধরনের পদক্ষেপ। যার মাধ্যমে প্রতি বছর অতিথি পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ দেশে আসা পাখির বড় একটা অংশ এ ক্যাম্পাসে আসে। ক্যাম্পাসের উপযোগী পরিবেশ আর বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর কারণেই অতিথি পাখির আগমন ঘটে।
x

Check Also

করোনায় হুমকির মুখে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা

এমএনএ রিপোর্ট : করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের ...