Don't Miss
Home / জীবনচর্চা / ভিন্ন ত্বকের যত্নে বেসনের ফেসমাস্ক

ভিন্ন ত্বকের যত্নে বেসনের ফেসমাস্ক

এমএনএ ফিচার ডেস্ক : ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ হলো বেসন। ত্বকের পুষ্টি জোগানোর উপাদানগুলো বিদ্যমান থাকায় বেসনকে ত্বকের শক্তিঘর বলা হয়। এটি ভিন্ন ভিন্ন ত্বকের যত্নেই অনেক কার্যকরী।
সহজলভ্য এই উপকরণটি ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। বেসনের ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ দূর হয়। এ ছাড়া রোদে পোড়া দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও ফিরিয়ে আনতেও ভূমিকা রাখে বেসন। তাই ত্বকের যত্নে রূপচর্চায় বেসন রাখার বিকল্প নেই।
জেনে নিন ভিন্ন ত্বকের যত্নে বেসনের কোন ফেসমাস্ক ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে টিপস দিচ্ছেন রূপ বিশেষজ্ঞ  –শেলী আহমেদ
মিশ্র ত্বকের যত্নে
যা যা লাগবে :
আধা চা চামচ বেসন, এক চা চামচ অলিভ অয়েল, আধা চা চামচ লেবুর রস।
কীভাবে ব্যবহার করবেন :
প্রথম বেসন, অলিভ অয়েল ও লেবুর রস একটি বাটিতে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সপ্তাহে একবার এই মাস্কটি ব্যবহার করুন।
ব্রণ-প্রবণ ত্বকের যত্নে
যা যা লাগবে :
এক চা চামচ বেসন ও দুই চা চামচ সবুজ চা।
কীভাবে ব্যবহার করবেন –
উপরোক্ত উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে একবার করে এই মাস্ক ব্যবহারে উপকার পাবেন।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে
যা যা লাগবে :
আধা চা চামচ বেসন ও এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল।
কীভাবে ব্যবহার করবেন :
উপরোক্ত উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পরে এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে আসলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে একবার এই মাস্ক ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
সংবেদনশীল ত্বকের যত্নে
যা যা লাগবে :
এক চা চামচ বেসন ও এক টেবিল চামচ গোলাপ জল।
কীভাবে ব্যবহার করবেন :
বেসন ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্কটি তৈরি করুন। এরপর এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই-তিন বার এই মাস্ক ব্যবহারে কার্যকর ফল পাবেন।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে
যা যা লাগবে :
এক চা চামচ বেসন ও দুই-তিন চা চামচ ক্যামোমিল চা।
কীভাবে ব্যবহার করবেন :
বেসন ও ক্যামোমিল চা একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি মাস্কটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিন। অল্প কিছু সময় রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার করে মাস্কটি ব্যবহারে মুখের তৈলাক্ততা দূর হবে।
স্বাভাবিক ত্বকের যত্নে
যা যা লাগবে :
আধা চা চামচ বেসন, এক চা চামচ মুলতানি মাটি ও এক টেবিল চামচ বাদামের তেল।
কীভাবে ব্যবহার করবেন :
সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। এরপর মুখের উপর পাতলা করে এর প্রলেপ লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহারে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে আরও সুন্দর।

নিষ্প্রাণ ত্বকের যত্নে
যা যা লাগবে :
এক চা চামচ বেসন ও এক টেবিল চামচ মধু।
কীভাবে ব্যবহার করবেন :
বেসন ও মধু ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি মাস্কটি মুখে লাগিয়ে নিন। এরপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার করে এই মাস্ক ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

x

Check Also

ঘুম

কম ঘুমালে শরীরে জটিল রোগ দানা বাঁধতে পারে

এমএনএ জীবনচর্চা ডেস্কঃ ঘুম সবারই কমবেশি প্রিয়। কিন্তু এই ঘুমই দুর্লভ হয়ে ওঠে কারও কারও ...