Don't Miss
Home / এই দেশ / ঘাটাইলে নির্বাচনী সহিংসতায় গোলাগুলিতে নিহত ১

ঘাটাইলে নির্বাচনী সহিংসতায় গোলাগুলিতে নিহত ১

এমএনএ জেলা প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সাগরদিঘী ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই কেন্দ্রটি স্থগিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, প্রায় এক-দেড়শ জনের একদল দুষ্কৃতিকারী ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের জন্য কেন্দ্রে হামলা চালালে প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশে পুলিশ গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতো রাউন্ড গুলি করা হয়েছে তার হিসেব তিনি দেননি। এসময় একজন নিহত হন। নিহত আব্দুল মালেক (৪৫) গুপ্তবৃন্দাবন গ্রামের বাসিন্দা নেছার উদ্দিনের ছেলে।
ঘাটাইল থনাার ওসি মহিউদ্দিন বলেন, গভীরাতে অস্ত্র নিয়ে একদল দুষ্কৃতিকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার রুমে ঢুকে ব্যালট পেপার জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিচ্ছিল। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসীও তাদের ধাওয়া করে। পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি।
এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাগড়দিঘী ইউনিয়নের গুপ্তবৃন্দাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রাত ৩টার দিকে কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সূত্র সাগরদিঘী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হেকমত সিকদারের লোকজন ব্যালট পেপারে ছিল মারছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুল্লাহ বাহারের সমর্থকসহ এলাকাবাসী সেখানে হামলা চালায়। এ সময় স্কুলঘরের ভেতর থেকে হামলাকারীদের প্রতি কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুল মালেক নিহত হন। তবে কারও আহত হওয়ার কথা জানা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাগড়দিঘী ইউনিয়নের গুপ্তবৃন্দাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশ ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দিচ্ছিলেন। রাত তিনটার সময় একদল দুষ্কুতিকারী অস্ত্র উঁচিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যলট পেপার কেড়ে নিয়ে বাক্সে ভর্তি করতে থাকে। এসময় পুলিশ ও এলাকাবাসী তাদের বাধা দেয়। দুষ্কৃতিকারীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে ভীতি প্রদর্শন করলে পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। এসময় আব্দুল মালেক নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ওই ভোটকেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার ছয় ইউনিয়নে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২৯২ জন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৯৮ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬৬ জন। ৬ ইউনিয়নে মোট ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৭২৫জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫ হাজার ৯ ৩০ এবং নারী ৫৬ হাজার ৭৯৫।
জানা গেছে, উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকা খ্যাত তিনটি ইউনিয়ন ভেঙে সংগ্রামপুর, সন্ধানপুর, রসুলপুর, ধলাপাড়া, লক্ষীন্দর ও সাগরদীঘি এই ছয়টি ইউনিয়ন গঠন করা হয়। গত ২০১৬ সালে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে নবগঠিত ও পুনঃগঠিত এই ছয় ইউনিয়নে তখন নির্বাচন হয়নি। পরবর্তীতে আইনি বাধা কাটিয়ে আজ এসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
x

Check Also

নবীনগর উপজেলার

নবীনগরে একাধিক পুজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন এলজিইডি-র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপুল বণিক

এমএনএ জাতীয় ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একাধিক পুজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন এলজিইডি-র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপুল ...