খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ৮ জুলাই
Posted by: News Desk
July 3, 2018
এমএনএ রিপোর্ট : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা থেকে খালাস চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের আপিল এবং সাজা বাড়াতে দুদকের আবেদনের শুনানি আগামী ৮ জুলাই দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। একইদিন দুপুর ২টায় শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
শুনানি মুলতবি চেয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ জুলাই দিন ঠিক করেছেন আদালত।
আজ ৩ জুলাই, মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ওই দিন বেলা ২টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার করা এই আপিল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর পুনর্বিবেচনা চেয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন করেছেন জানিয়ে শুনানি মুলতবির এ আবেদন গত সোমবার করা হয়।
আবেদনে বলা হয়, পুনর্বিবেচনা আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি মুলতবি করা হোক। এ আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
শুনানিতে এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, আপিল বিভাগ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আদেশ দিয়েছেন। ওই আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগে শুনানি মুলতবি রাখা হোক। আমাদের একটি রিজনাবল সময় দিন। আজকেই রিভিউ নিয়ে চেম্বার আদালতে যেতে পারি।
রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আপিল বিভাগ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির কথা বলেছেন। তাই আপিল মামলাটির শুনানি শুরু হওয়া প্রয়োজন। এর পর আদালত খালেদার আবেদন নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।
গত ১ জুলাই খালেদা জিয়া ও অপর দুই আসামির আপিলসহ দুদকের আবেদনের শুনানির জন্য ৩ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুজন হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিনজন হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এর পর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি তারা এ আবেদন করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন। এর পর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
এ মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পর খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
খালেদা জিয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট শুনানি বিএনপি আপিল চেয়ারপারসন 2018-07-03