এমএনএ ফিচার ডেস্কঃ বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিবিদ, সংস্কৃতিসেবী, মুক্তবুদ্ধির চিন্তক, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী ড. নীলিমা ইব্রাহিম নানা পরিচয়ে সমুজ্জল। তাঁর একেকটা পরিচয় আরেক পরিচয়কে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে তাঁর জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও মেধাকে সম্বল করে। সত্য ও ন্যায়ের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অবিচল একরোখা। তিনি প্রতিটি বিষয়কে নিজের মতো করে বিশ্লেষণ করেছেন। নিজের কন্ঠকে প্রতিবাদী করছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর কন্ঠ জোরালো করেছেন। যখন যেখানে প্রয়োজন নিজেকে মেলে ধরেছেন। তিনি কখনো রয়ে সয়ে কথা বলেননি। এই মহীয়সী নারী ২০০২ সালের আজকের দিনে চলে গেছেন পরপারে।
শিক্ষাবিদ ড. নীলিমা ইব্রাহিমের প্রস্তাবনায় ১৯৯৪ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রথমবারের মত জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রথম জাতীয় শিশু দিবস উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা। আয়োজনে করে জাতীয় শিশু সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা। ১৯৯৭ সালে প্রথম সরকারীভাবে দিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, শিক্ষাবিদ ড. নীলিমা ইব্রাহিম দিবসটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন ১৯৯৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর শিশু সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার জাতীয় সম্মেলনে। সেই সম্মেলনে প্র্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালিন বিরোধীদলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতীয় শিশু দিবস পালনের ড. নীলিমা ইব্রাহিমের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানান। সেই থেকে শিশুদের উৎসব হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
যতদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ পালন হবে, ততদিন উচ্চারিত হবে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ এর প্রস্তাবক ড. নীলিমা ইব্রাহিমের নাম।