এমএনএ বিনোদন ডেস্ক : দেশীয় চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাকের আজ ৭৫তম জন্মদিন। আমাদের সকলের প্রিয় নায়ক রাজ রাজ্জাকের ৭৫তম জন্মদিনে মোহাম্মদী নিউজ এজেন্সী (এমএনএ)-এর পক্ষ থেকে রইল একরাশ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এ দিনটিতে বিভিন্ন চ্যানেল, বেতার ও জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ আয়োজন করছে। বিশেষত স্যাটেলাইট চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’ নায়করাজের জন্মদিনে তিন দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। আজ চ্যানেল আইয়ের ‘সিটিসেল তারকাকথন’ অনুষ্ঠানে এ বিশিষ্টজন উপস্থিত থাকবেন।
পাশাপাশি ‘তারকা কথন’জুড়ে তার সঙ্গে সময় কাটাবেন পরিচালক আমজাদ হোসেন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, নায়িকা সুজাতা, নায়ক ফারুক ও ফেরদৌস। বিশেষ একটি পর্বে নায়করাজের সঙ্গে থাকবেন বিনোদন সাংবাদিক রাফি হোসেন, অনুরূপ আইচ, তানভীর তারেক, দাউদ হোসেন রনি ও আলী আফতাব। অনন্যা রুমার প্রযোজনায় নায়করাজকে নিয়ে বিশেষ ‘তারকাকথন’ পর্বটি উপস্থাপনা করবেন মৌসুমী বড়ুয়া।
দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত নানান রঙে সাজানো হয়েছে আজকের ‘তারকাকথন’ পর্বটি। একই অনুষ্ঠানে বিএফডিসি ও নায়করাজের ‘লক্ষ্মীকুঞ্জ’ থেকেও শুভেচ্ছা পর্বে অংশ নেবেন অনেকেই। চ্যানেল আইতে আরও প্রচার হবে আরশাদ আদনানের প্রযোজনায়, বাপ্পা মজুমদারের সুর-সংগীতে কুমার বিশ্বজিৎ, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মুজমদার ও আঁখি আলমগীরের গাওয়া এবং ওমর ফারুকের লেখা নায়করাজকে নিয়ে লেখা জন্মদিনের বিশেষ গান ‘সৃষ্টিতে অমর তুমি, তুমিই নায়করাজ’।
এ ছাড়া ‘রেডিও আমার- ৮৮.৪’-এ গানটি দিনব্যাপী প্রচার হবে। এদিকে নায়করাজের জন্মদিনে তাকে বিএফডিসিতে পরিচালক সমিতি শুভেচ্ছা জানাবে বিকাল তিনটায়। এরপর নায়করাজ চলে যাবেন রাজধানীর উত্তরায় ‘রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স’-এ। সেখানে ‘রাজলক্ষ্মী বণিক সমিতি’ বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে তাকে শুভেচ্ছা জানাবে। তারপর পুরো সময়টি তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই কাটাবেন। নায়করাজ রাজ্জাক বলেন, যার যার অবস্থান থেকে যে যেভাবে পারছেন আমার ৭৫তম জন্মদিন উদ্যাপন করছেন।
নায়ক রাজ রাজ্জাক জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতার টালিগঞ্জের মোড়ল বাড়িতে। পিতা আকবর হোসেন ও মাতা মিসারুন্নেসার কনিষ্ঠ সন্তান নায়ক রাজ রাজ্জাকের প্রকৃত নাম আবদুর রাজ্জাক।
কিশোর বয়স থেকেই কলকাতার মঞ্চনাটকে জড়িয়ে পরেন এই অভিনেতা। স্কুলে পড়ার সময় তিনি ‘বিদ্রোহ’নাটকে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। এটিই তার প্রথম অভিনীত নাটক। কলেজ জীবনে ‘রতন লাল বাঙালি’চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সিনেমার রঙ্গিন দুনিয়ায় প্রবেশ করেন রাজ্জাক। এরপর তিনি ১৯৫৯ সালে বোম্বে ফিল্মালয়ে ভর্তি হন। ওই সময়ে তিনি ‘পংকতিলক’ এবং ‘শিলালিপি’ নামের আরো দু’টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
এরপর ১৯৬৪ সালে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে তিনি স্বপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় আসার পর তার সংসার খুব কষ্টে কাটতে থাকে। এ সময় তার পরিচয় হয় ঢাকার প্রথম ছবি ‘মুখ ও মুখোশ’-এর পরিচালক আব্দুল জব্বার খানের সঙ্গে। তারই সহযোগিতায় ওই সময়ের বিখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ইকবাল ফিল্মস লিমিটেড এ পরিচালক কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে রাজ্জাকের একটি চাকরি হয়। সহকারী পরিচালক হিসেবে রাজ্জাকের প্রথম ছবি ‘উজালা’। ইকবাল ফিল্মস-এ কাজ করার পাশাপাশি কিছু চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয়ও করেন তিনি। এসময় প্রোডাকশনের ‘তেরো নাম্বার ফেকু অস্তাগড় লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে রাজ্জাক সবার কাছে তার মেধার পরিচয় দেন।
একদিন হঠাৎ করেই সুযোগ পান নায়ক হবার। বরেণ্য চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান নায়ক রাজ- রাজ্জাককে ‘বেহুলা’ ছবিতে নায়ক হিসেবে কাজ করতে আহবান জানান। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সুচন্দা। ১৯৬৮ সালে মুক্তি পায় ছবিটি।
এরপর আর তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। রুপালী পর্দার সোনালী মানুষ কিংবদন্তি অভিনেতা নায়ক রাজ রাজ্জাক। শুধু ঢাকাই চলচ্চিত্রে নয় ‘দুই বাংলার’জনপ্রিয় নায়ক রাজ – রাজ্জাক দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে পাঁচশতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ পেয়েছেন বহু পুরস্কার। এখনো চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি প্রযোজনা ও পরিচালনাও করছেন তিনি।
নায়করাজ রাজ্জাক অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে এমন অনেক ছবি রয়েছে যা অভিনয়, কাহিনি, পরিচালনা ও অন্যান্য কারণে দর্শকের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। রাজ্জাক অভিনীত এমন পাঁচটি ছবি নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো-
অশিক্ষিত
অশিক্ষিত মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। ছবির পরিচালক ছিলেন আজিজুর রহমান। সংগীত পরিচালক ছিলেন সত্য সাহা। ছবিতে রাজ্জাকের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন অঞ্জনা, রোজি সামাদ, শওকত আকবর এবং মাস্টার সুমন। ছবির কাহিনিতে দেখা যায়, গ্রামের চৌকিদার রহমত (রাজ্জাক) লেখাপড়া জানে না। অশিক্ষিত রাজ্জাককে লেখাপড়া শেখায় গ্রামের দরিদ্র অনাথ বালক মাস্টার সুমন। রাজ্জাক নাম দস্তখত করা শেখে তার কাছে। কাহিনির শেষ পর্যায়ে দুর্নীতিবাজ আড়তদারের অপরাধ দেখে ফেলায় খুন হয় সুমন। তার খুনের সাক্ষী হয় রাজ্জাক এবং তার সাক্ষ্যে শাস্তি হয় অপরাধীর। সাক্ষীর দরখাস্তে নিজ হাতে নাম সই করে রাজ্জাক। ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে দারুণ সফল হয়। পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়ায়। এ ছবির একটি গান ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই’ দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন খন্দকার ফারুক আহমেদ এবং শাম্মী আখতার। গানের কথা লিখেছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। অশিক্ষিত রহমত চৌকিদারের ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করেন রাজ্জাক। এ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে সেরা অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেন তিনি।
চন্দ্রনাথ
‘চন্দ্রনাথ’ মুক্তি পায় ১৯৮৪ সালে। ছবিটির পরিচালক ছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম। ছবিতে আরও অভিনয় করেন দোয়েল, সুচন্দা ও গোলাম মুস্তাফা। সংগীত পরিচালক ছিলেন নুরুল ইসলাম। গীতিকার রফিকুজ্জামান। কণ্ঠশিল্পী ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন, সুবীর নন্দী ও প্রবাল চৌধুরী।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয় এই সিনেমা। কাহিনিতে দেখা যায়, কাশিতে গিয়ে দরিদ্র তরুণী সরযূর (দোয়েল) সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণ জমিদার চন্দ্রনাথের (রাজ্জাক)। সরযূকে ভালোবেসে তাকে বিয়ে করে গ্রামে নিয়ে আসেন চন্দ্রনাথ। কিন্তু এক সময় শোনা যায় সরযূর মায়ের চরিত্র নিয়ে বদনাম রয়েছে। সমাজের কারণে সরযূকে ত্যাগ করে কাশি পাঠিয়ে দেন চন্দ্রনাথ। তিনি নিজেও গৃহত্যাগ করেন। বেশ কয়েক বছর পর অনেক ঘটনার মধ্য দিয়ে আবার তাদের মিলন হয়। ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফল এবং সমালোচকদের প্রশংসায় সিক্ত। সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্রের নায়ক হিসেবে পরিশীলিত বাচনভঙ্গী, সুদর্শন অবয়ব এবং সুঅভিনয়ের কারণে চন্দ্রনাথ চরিত্রে দারুণ মানানসই ছিলেন রাজ্জাক। ছবিটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে ৪টি পুরস্কার জয় করে। সেরা অভিনেতার পুরস্কার জয় করেন রাজ্জাক।
বড় ভালো লোক ছিল
ব্যতিক্রমী কাহিনির একটি চলচ্চিত্র ‘বড় ভালো লোক ছিল’। ১৯৮২ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। পরিচালক ছিলেন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। ছবিতে আরও অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ, প্রবীর মিত্র ও আনোয়ার হোসেন। সংগীত পরিচালক আলম খান। গানের কথা লিখেছিলেন সৈয়দ শামসুল হক। কণ্ঠশিল্পী ছিলেন রুনা লায়লা ও এন্ড্রু কিশোর।
কাহিনিতে দেখা যায় গ্রামের এক দরবেশের (আনোয়ার হোসেন) ছেলে রাজ্জাক আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। ট্রাক দুর্ঘটনায় বাবার অকাল মৃত্যুতে গ্রামে আসেন রাজ্জাক। তিনি আধ্যাত্বিক শক্তিকে স্বীকার না করলেও তার মধ্যে সেটির প্রকাশ দেখা যায়। গ্রামের মেয়ে অঞ্জু ঘোষ ভালোবাসে ট্রাক চালক প্রবীর মিত্রকে। অঞ্জুকে দেখে তার প্রতি প্রলুব্ধ হন রাজ্জাক। কিন্তু এই ঘটনার পর তার আধ্যাত্বিক ক্ষমতা চলে যায়। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সুপথে ফিরে আসেন তিনি এবং মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। জটিল এই চরিত্রে চমৎকার অভিনয় উপহার দেন নায়করাজ।
ছবির গানগুলো দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। ‘হায় রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘আমি চক্ষু দিয়া দেখতাছিলাম জগৎ রঙিলা’ ইত্যাদি গান লোকের মুখে মুখে ফেরে। ছবিটি ৬টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করে। সেরা অভিনেতার পুরস্কার ঘরে তোলেন রাজ্জাক।
কি যে করি
১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় ‘কি যে করি’। রাজ্জাক-ববিতা জুটি অভিনীত ছবিটির পরিচালক ছিলেন জহিরুল হক। সংগীত পরিচালক ছিলেন আলম খান। গীতিকার ছিলেন মুকুল চৌধুরী। সংগীতশিল্পী ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন ও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।
ছবির কাহিনিতে দেখা যায় অত্যাচারী বাবার হাতে মাকে জীবন দিতে দেখে শৈশব থেকেই পুরুষকে ঘৃণা করেন ববিতা। কিন্তু তার দাদার উইল অনুসারে সম্পত্তি পেতে হলে বিয়ে করতে হবে। তাই তিনি ফাঁসির আসামী রাজ্জাককে বিয়ে করেন। কিন্তু ঘটনাক্রমে আদালতে খালাস পান রাজ্জাক। এর পর জন্ম হয় নানা মজার ঘটনার। অবশেষে রাজ্জাককে মন থেকে গ্রহণ করেন ববিতা। ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে দারুণ সফল হয়। এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান রাজ্জাক। রোমান্টিক কমেডি হিসেবে ছবিটি দারুণ উপভোগ্য হয় দর্শকের কাছে। এ ছবির ‘শোনো গো রূপসী ললনা’, ‘না আমি কারও চাকরি করি’ ইত্যাদি গান বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
অবুঝ মন
১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটির পরিচালক ছিলেন কাজী জহির। বাংলাদেশের একটি চিরসবুজ প্রেমের ছবি ‘অবুঝ মন’। রাজ্জাক-শাবানা জুটি অভিনীত এ ছবিতে আরও ছিলেন সুজাতা, শওকত আকবর , নারায়ণ চক্রবর্তি, এটিএম শামসুজ্জামান প্রমুখ। স্বাধীনতার আগেই ছবিটির অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। ছবিটির সংগীত পরিচালক ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদ। গান লিখেছিলেন ড. মনিরুজ্জামান ও গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সংগীতশিল্পী ছিলেন, ফেরদৌসী রহমান, সাবিনা ইয়াসমিন ও আবদুল জব্বার।
ছবির কাহিনিতে দেখা যায়, দরিদ্র যুবক মাসুম ( রাজ্জাক) বন্ধু বিজয়ের (শওকত আকবর) সহায়তায় ডাক্তারি পাশ করে গ্রামে আসে গ্রামের মানুষের সেবায় কাজ করার জন্য। মাসুমকে ভালোবাসে তার সহপাঠী ডা.রাবেয়া (সুজাতা)। কিন্তু মাসুম সেটি জানে না। পথে ট্রেনে তার পরিচয় হয় জমিদারকন্যা মাধবীর (শাবানা) সঙ্গে। পরিচয় রূপ নেয় প্রেমে। কিন্তু তারা দুজন ভিন্ন ধর্মের মানুষ। বাধা হয়ে দাঁড়ায় সমাজ। মাধবীর বাবা জমিদার (নারায়ণ চক্রবর্তি)। মাসুম দরিদ্র। এটিও তাদের মিলনের পথে বাধা। জমিদারের অনুরোধে গ্রাম ছেড়ে চলে যায় মাসুম। মাসুমের বন্ধু বিজয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মাধবীর। কিন্তু তাদের প্রেম মরে না। মাসুম-মাধবীর প্রেমের কথা জানতে পেরে তাদের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চায় বিজয়। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় দৃষ্টি হারায় সে। মাসুম তাকে নিজের একটি চোখ দান করে। মাধবীকে অনুরোধ করে বিজয়কে ভালোবাসতে। মাধবী সে কথা মেনে নিয়ে মাসুমের সঙ্গে রাবেয়ার জীবন যুক্ত করে দেয়। ধর্মীয় ও সামাজিক পরিচয়ের অনেক উপরে প্রেমের ও মানবতার বিজয় ঘোষণা করে ‘অবুঝ মন’ ছবিটি। ‘অবুঝ মন’ তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এ ছবির ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ গানটি এখনও দারুণ জনপ্রিয়।