Don't Miss
Home / দিবস / বৈশ্বিক দিবস / উৎসব ও প্রার্থনায় উদ্‌যাপিত হচ্ছে শুভ বড়দিন

উৎসব ও প্রার্থনায় উদ্‌যাপিত হচ্ছে শুভ বড়দিন

এমএনএ ফিচার ডেস্ক : আজ ২৫ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। আজ সোমবার সারা দিন আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে তাঁরা দিনটি উদ্‌যাপন করবেন। বড় দিন উপলক্ষে আজ সোমবার সরকারি ছুটির দিন। দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসবে।
২ হাজার ১৭ বছর আগে এই দিনে ফিলিস্তিনের বেথলেহেম শহরে খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, ঈশ্বরের অপার মহিমা ও মানবজাতিকে পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য যিশুখ্রিষ্টের জন্ম হয়েছিল। শত শত বছর ধরে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মানুসারীরাও আজ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করবেন।
যিশুখ্রিষ্ট সারা জীবন আর্তমানবতার সেবা, ত্যাগ ও শান্তির আদর্শ প্রচার করেছেন। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সবাইকে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। শাসকের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি শোষিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষ নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি শাসকের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং মাত্র তেত্রিশ বছর বয়সে ক্রুশবিদ্ধ হন।
বড়দিন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে জমকালো সজ্জায়। যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিনে গির্জাগুলোতে প্রতীকী গোয়ালঘর তৈরি করা হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে গির্জা, পাঁচতারা হোটেলগুলোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি ক্রিসমাস ট্রি, রঙিন বল, জরিতে সাজানো হয়েছে এবং আলোকসজ্জিত করা হয়েছে। সারা দেশে বড়দিন উপলক্ষে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও বড়দিন উদযাপন করা হচ্ছে আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। বড়দিন উপলক্ষে দেশের গির্জাগুলোতে আজ বিশেষ প্রার্থনা করা হচ্ছে। আর আনন্দ-উৎসবের মধ্যে রয়েছে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, সান্তাক্লজের উপহার, স্বজনদের বাড়িতে ও বিনোদনকেন্দ্রে বেড়াতে যাওয়া, আর মজার মজার খাবার খাওয়া।
ধর্মীয় গান, কীর্তন, অতিথি আপ্যায়ন আর পরমানন্দে দিনটি উদযাপিত হবে। আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন, বেসরকারি টিভি ও রেডিও দিবসের তাত্পর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সমপ্রচার করছে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। আবহমানকাল ধরে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণ ও উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বড়দিন দেশের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীসহ দেশের সব মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও এবং মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া, বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, প্রশান্ত কুমার বড়ুয়া, ইউলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল।
এ দিকে বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জা, কাকরাইল সেন্ট মেরি ক্যাথিড্রাল চার্চ, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সেজেছে রঙিন সাজে। গির্জার প্রবেশপথে সাজানো হয়েছে ক্রস এবং শুভেচ্ছা কার্ডসহ উপহারসামগ্রী বিক্রির দোকান।
এ দিকে বড়দিনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, দ্য ওয়েস্টিন ও ঢাকা রিজেন্সি হোটেল সাজানো হয়েছে রঙিন বাতি, বেলুন, ক্রিসমাস ট্রি আর ফুল দিয়ে। সোমবার দিনভর হোটেলগুলোতে চলবে আনন্দ-উৎসব।
রাতে কেক কাটা ও প্রার্থনার পর সকালে গির্জায় একত্রিত হবেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। সকালের প্রার্থনার পর বাড়িতে ফিরে ছোটরা বড়দের আশীর্বাদ নেবে এবং আনন্দে মেতে ওঠবে।
x

Check Also

আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০ তম জন্মবার্ষিকী

এমএনএ রিপোর্ট : আজ ঐতিহাসিক ১৭ ই মার্চ , আজকের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ...