এমএনএ আঞ্চলিক ডেস্কঃ ভোলার চরফ্যাশনের চেয়ারম্যান বাজারে ঈদ পরবর্তী স্থানীয়দের সঙ্গে কুশল বিনিময়কালে সাবেক সচিব ও ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা উপদেষ্টা মেজবাহ উদ্দিনের বহরে হামলা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোমবার রাতে ঘটনার পর পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ টিম সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বাড়ি বাড়ি তল্লাশী চালায়। মঙ্গলবার ওই এলাকায় পুলিশ টহল রাখা হয়েছে।
সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন অভিযোগ করেন, শ্রমিকলীগ সভাপতি কুতুব জাহাঙ্গীর, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ইমন ও পৌর কাউন্সিলর মনজুর নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।
এ সময় পেশাগত দায়িত্বে পালন করতে গিয়ে হামলায় আহত হন দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি মোঃ জাহিদ ও দৈনিক মতবাদের প্রতিনিধি মোঃ সেলিম রানাসহ কম পক্ষে ১৫ জন।
মঙ্গলবার উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভিপি জানান, হামলার কোন ঘটনা তারা শোনেন নি। এছাড়া ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগ বা কোন সহযোগী সংগঠনের কেউ জড়িত নন। বিএনপি সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় প্রতিদিন তাদের দলীয় মিটিং মিছিল অব্যাহত রয়েছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান নুরুল ইসলাম ভিপি।
এদিকে সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন জানান, তাদের এক সময়ে বাড়ি ছিল দৌলতখান উপজেলায়। নদী ভাঙনের পর তাদের সকল আত্মীয় স্বজন চরফ্যাশনের হাজারীগঞ্জ, শশিভুষন এলাকায় বসবাস করছেন। ঈদ পরবর্তী সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে তিনি এলাকায় আসেন। এ সময় ৭/৮শ জন লোক তার সঙ্গে যুক্ত হন। সোমবার বিকাল থেকে তিনি ওই এলাকায় যান। কিছু পরেই সন্ত্রাসীরা ২০/২৫টি মোটরসাইকেল যোগে গিয়ে পেছন থেকে হামলা শুরু করে। বিষয়টি মেনে নিতে পারেন নি স্থানীয়রা। তারাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে জানালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে সাবেক সচিব মেজবা উদ্দিন সাহেবকে পুলিশ পাহারায় তার চরফ্যাশনের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-৪ আসন থেকে সাবেক এই সচিব নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়নে প্রার্থী হতে পারেন। এ কারনে তিনি গণসংযোগ শুরু করেছেন। বিষয়টি আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ মেনে নিতে পারছেন না।