এমএনএ খেলাধুলা ডেস্কঃ জিততে ৬ বলে প্রয়োজন ১১ রান। উইকেটে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু এবার আর জয়ের নায়ক হতে পারলেন না তিনি। কেশভ মহারাজের পঞ্চম ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ হন সীমানার কাছে। তাতে শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। উইকেটে নেমে এই অসাধ্য সাধন করতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। নিতে পারেন ১ রান। বাংলাদেশও হেরে যায় জেতা ম্যাচ।
সোমবার (১০ জুন) নিউইয়র্কে নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ হেরেছে ৪ রান ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে মাত্র ১১৩ রানে বেঁধে টাইগার বোলাররা। রান তাড়ায় ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৯ রানে থামে বাংলাদেশ। এই জয়ে সবার আগে সুপার এইট পর্ব নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
উইকেটে বিবেচনায় চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় দায়িত্ব কাঁধে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। করেন ওপেনিং। সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেও বুক চেতিয়ে খেলতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক। ২৩ বল খেলে আউট হন ১৪ রান করে। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দল প্রথম উইকেট হারায় তানজিদ হাসান তামিমের ব্যর্থতায়। রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে থাকা কুইন্টন ডি কককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তরুণ এই ওপেনার (৯)।
পাওয়ারপ্লে পর্যন্ত আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি শান্ত-লিটন। কিন্তু সপ্তম ওভারের প্রথম বলে কেশভ মহারাজের শিকার হন লিটন। ১৩ বল খেলে মাত্র ৯ রান করতে পারেন তিনি। এরপর নর্টজের শর্ট বলে শট খেলতে গিয়ে মাঠ ছাড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৪ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি।
শর্ট বলেই অধিনায়ক শান্তকে মাঠ ছাড়া করেন নর্টজে। তখন ৯.৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫০ রান। অর্থাৎ বেশ চাপে পড়েছিল টিম টাইগার্স। চাপমুক্তি সেই তাওহিদ হৃদয় এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে। যাদের ব্যাটে বাংলাদেশ জয়ের দেখা পেয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের তাদের প্রথম ম্যাচে।
চাপের মুখে প্রথমে থিতু হন তরুণ ও অভিজ্ঞ ব্যাটার। এরপর চার-ছক্কায় ব্যবধানে কমাতে থাকেন দুজনে। দলীয় ৯৪ এবং ব্যক্তিগত ৩৭ রানে পথ হারান হৃদয়। রাবাদার বলে এলবি হন তিনি। তার ৩৪ বলের ইনিংসে ছিল ২টি করে চার-ছক্কা। তখন জয়ের জন্য ১৭ বলে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। সেটাই হয়ে যায় ১২ বলে ১৮ এবং ৬ বলে ১১ রান!
জয়ের স্বপ্ন নিভিয়ে মাহমুদউল্লাহ ফিরেন ব্যক্তিগত ২০ রানে।
এই হারে ‘ডি’ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের সমান ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেদারল্যান্ডস। প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা অবস্থান করছে যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে। হ্যাটট্রিক জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা হাতে পেয়ে গেছে সুপার এইটে খেলার টিকিট।