Don't Miss
Home / স্বাস্থ্য / চিকিৎসা / ডেঙ্গু টেস্টের ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ

ডেঙ্গু টেস্টের ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ

এমএনএ রিপোর্ট : রাজধানীতে মহামারী রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু টেস্টের ফি ৫০০ টাকার বেশি না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ মোকাবিলায় টেস্টের মূল্য ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গুবিষায়ক অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল অফিসার (হাসপাতাল) ডা. শাহ আলম সিদ্দিকী।

রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ মোকাবিলায় প্রাইভেট হাসপাতাল/ক্লিনিক,ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিচালক/ ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা’ সংক্রান্ত এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় ডেঙ্গু টেস্টের মূল্য নির্ধারণসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো−

১. ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের জন্য টেস্টগুলোর মূল্য নিম্নরূপ হবে

ক) NS1-৫০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্বমূল্য ছিল ১২০০– ২০০০ টাকা।

খ) IgM + IgE অথবা IgM/ IgE- ৫০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্বমূল্য ছিল ৮০০ – ১৬০০ টাকা। গ) CBC (RBC + WBC + Platelet + Hematocrit)- ৪০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্বমূল্য ছিল ১০০০ টাকা।

এই মূল্য তালিকা আজ রবিবার, ২৮ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই মূল্য তালিকা কার্যকর থাকবে।

২. সব প্রাইভেট হাসপাতাল/ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য একটি ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ চালু করবে।

৩. ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যার অনুপাতে ডাক্তার,নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধি করা হবে।এ ছাড়া সব হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।

বছর শেষ হতে এখন পাঁচ মাস বাকি থাকলেও চলতি মাসেই বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগ আগে ২০০২ সালে দেশে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ২৩২ জন আক্রান্ত হন। তবে ২০০০ সালে ৯৩ জনের মৃত্যুর রেকর্ডই ছিল সর্বাধিক। দীর্ঘ ১৬ বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ১৪৮ জন আক্রান্ত হয়ে নতুন রেকর্ড করেছিল। মৃতের সংখ্যা ছিল ২৬।

চলতি বছরের সাত মাস শেষ হওয়ার আগেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ৫২৮। ফলে ২০১৮ সালের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড স্থাপিত হলো।

শুধু তাই নয়, গত বছরের জুলাইয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল ৫ হাজার ৫০ জন। এ বছর জানুয়ারিতে ৩৭, ফেব্রুয়ারিতে ১৯, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে মাসে ১৮৪, জুনে ১ হাজার ৮২৯ ও জুলাইয়ে (২৭ জুলাই পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৮ হাজার ৩৮৪।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে চলতি বছরে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৫২৮ ডেঙ্গু রোগী সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছেন। তবে এ বছর মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, মাত্র আটজন।

x

Check Also

ইজতেমার

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের সমাপ্তি

এমএনএ জাতীয় ডেস্কঃ গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার ‘প্রথম পর্বের প্রথম ...