এমএনএ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত পুরুষ নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন আজ। নেতাজি ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতের ওড়িষা রাজ্যের কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। এবছরে পালিত হবে নেতাজীর ১২০তম জন্মবার্ষিকী।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত করার জন্য যে সব ব্যক্তি, বিপ্লবী জীবন উৎসর্গ করেছেন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি মনে করতেন অহিংসায় নয়, উদারতায় নয়, শক্তি প্রয়োগ করেই ব্রিটিশকে ভারত থেকে তাড়াতে হবে। এই মন্ত্রকে ধারণ করেই তিনি লড়াই-সংগ্রাম চালিয়েছেন ব্রিটিশ শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে। ভারত উপমহাদেশে সশস্ত্র বিপ্লববাদীদের সংগঠক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যে কারণে তাঁকে গণ্য করা হয় এ উপমহাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে।
ভারতবর্ষের সূর্য সন্তান সুভাষ চন্দ্র পরপর দুইবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। বলা হয় মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত এবং কংগ্রেসের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করার জন্য তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। সুভাষ চন্দ্র মনে করতেন গান্ধীজীর অহিংস নীতি ভারতের স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। বলা হয় এই কারণে তিনি সশস্ত্র বিদ্রোহের পক্ষপাতী ছিলেন। এই লক্ষ্যে সুভাষ চন্দ্র ফরওয়ার্ড ব্লক নামক একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নাৎসি ও অন্য যুদ্ধবাদী শক্তিগুলোর সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনের জন্য কোন কোন ইতিহাসবিদ ও রাজনীতিবিদ সুভাষ চন্দ্রের সমালোচনা করেছেন; এমনকি কেউ কেউ তাঁকে নাৎসি মতাদর্শের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন বলে অভিযুক্ত করেছেন। তবে ভারতের স্বাধীনতাকামী মানুষ তাঁর পথপ্রদর্শক সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি সহানুভূতি পোষণ করেছেন। ধর্মের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত ছিলেন সুভাষ চন্দ্র। ধর্মের পবিত্র বাণীর প্রতিও ছিল তাঁর গভীর বিশ্বাস। অন্য কারও ধর্মানুভূতি নিয়েও তাঁর ছিল শ্রদ্ধা। তিনি ধ্যানমগ্ন হয়ে অনেক সময় অতিবাহিত করেছেন। বিশেষ করে স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ তাঁকে ভীষণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি তাঁর দেশপ্রেমিক সত্তার জন্য ছোট-বড় সবার কাছে গ্রহণীয় ছিলেন।
নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর বাবা ছিলেন কটক প্রবাসী বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী জানকীনাথ বসু। মা প্রভাবতী দেবী। ১৪ ভাইবোনের মধ্যে ৯ম ছিলেন তিনি। নেতাজী ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত কটকের একটি ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন, যা বর্তমানে স্টিওয়ার্ট স্কুল নামে পরিচিত। এরপর ভর্তি হন কটকের রর্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে। সেখান থেকে ১৯১১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন নেতাজী। ১৯১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে সম্মানসহ বি.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এরপর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজউইলিয়াম হলে উচ্চশিক্ষার্থে ভর্তি হন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়েও বিপ্লব-সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সেই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন। এই প্রসঙ্গে নেতাজী বলেছিলেন, ‘কোনো সরকারের সমাপ্তি ঘোষণা করার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হল তা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া।’
এই সময় অমৃতসর হত্যাকাণ্ড ও ১৯১৯ সালের দমনমূলক রাওলাট আইন ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের বিক্ষুদ্ধ করে তুলেছিল। ভারতে ফিরে সুভাষচন্দ্র স্বরাজ নামক সংবাদপত্রে লেখালিখি শুরু করেন এবং বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রচার দায়িত্বে নিযুক্ত হন। তাঁর রাজনৈতিক গুরু ছিলেন বাংলায় জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। ১৯২৪ সালে দেশবন্ধু যখন কলকাতা পৌরসংস্থার মেয়র নির্বাচিত হন, তখন সুভাষচন্দ্র তাঁর অধীনে কর্মরত ছিলেন। ১৯২৫ সালে অন্যান্য জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে তাঁকেও বন্দী করা হয় এবং মান্দালয়ে নির্বাসিত করা হয়। সেখানে তিনি যক্ষায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
কর্মজীবন ও রাজনীতি
রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের প্রায় বিশ বছরের মধ্যে সুভাষ চন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। ইংরেজ সরকারের কাছে নেতাজী ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। বন্দী জীবনে তাঁকে ভারত ও রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। ১৯৩০ সালে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়। ১৯৩৪ সালে ভিয়েনাতে তিনি এমিলি সেচঙ্কলের সাথে পরিচিত হন। ১৯৩৭ সালে প্রেমে জড়িয়ে ব্যাড গ্যাস্টিনে এমিলিকে বিয়ে করেন।
তাঁর পিতার মৃত্যুর পর ব্রিটিশ সরকার তাকে শুধু মাত্র ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের উদ্দ্যেশ কিচ্ছুক্ষণের জন্য কলকাতা আসার অনুমতি দেয়।
১৯৩৮ সালে তিনি গান্ধির বিরোধীতার মুখে ভারতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৩৯ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য ত্রিপুরা সেসনে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে নেতাজীর বিপক্ষে গিয়ে পট্টভি সিতারামায়াকে সমর্থন দেন গান্ধি। নির্বাচনের ফলাফল শোনার পর গান্ধি বলেছিলেন ‘পট্টভির হার আমার হার।’ কিন্তু জয়যুক্ত হলেও নেতাজী সুষ্ঠুভাবে কার্য সম্পাদন করতে পারছিলেন না। গান্ধীর অনুগামীরা তার কাজে বাধা সৃষ্টি করছেলেন। গোবিন্দ বল্লভ এইসময় একটি প্রস্তাব পেশ করেন যে, কার্যনির্বাহক পরিষদকে পুনর্গঠন করা হোক।
কেবলমাত্র গান্ধির মতানুসারী না হওয়াতেই কার্যনির্বাহি কমিটির সকল সদস্য পদত্যাগ করবে এমন হুমকি দিয়ে সুভাষচন্দ্র বসুকে পদত্যাগ পত্র পেশ করতে বলে কার্যনির্বাহি কমিটি। একপর্যায়ে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন এবং অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক (All India Forword Block) গঠন করেন নেতাজী। ১৯৩৮ সালে তিনি জাতীয় পরিকল্পনা পরিষদের প্রস্তাবনা দেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
ব্রিটিশরা কবে ভারতীয়দের স্বাধীনতার অনুমোদন দেবে তার জন্য বসে না থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে সুবিধা নেওয়া উচিত বলে প্রস্তাব দেন নেতাজী। তিনি বিশ্বাস করতেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা নির্ভর করে অন্য দেশের রাজনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থনের উপর। তাই তিনি ভারতের জন্য একটি সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেন।
ভারত থেকে পলায়ন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতবর্ষের অংশগ্রহণের ব্যাপারে সুভাষ বসু নাখোশ ছিলেন। তিনি সে সময় গৃহবন্দি ছিলেন। তিনি বুঝতে পারলেন ব্রিটিশরা তাঁকে যুদ্ধের আগে ছাড়বে না। তাই তিনি দুইটি মামলার ফায়সালা বাকি থাকতেই আফগানিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে জার্মানী পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আফগানিস্তানের পশতু ভাষা না জানা থাকায় তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের উত্তর-পশ্চিম সিমান্ত প্রদেশের নেতা মিয়া আকবর শাহকে তার সাথে নেন। যেহেতু তিনি পশতু ভাষা জানতেন না তাই তাঁর ভয় ছিল, আফগানিস্তানবাসীরা তাকে ব্রিটিশ চর ভাবতে পারে। তাই মিয়া আকবর শাহের পরামর্শে তিনি অধিবাসীদের কাছে নিজেকে একজন কালা ও বোবা বলে পরিচিত করেন। সেখান থেকে সুভাষ বসু কাউন্ট অরল্যান্ডো মাজ্জোট্টা নামক একজন ইতালির নাগরিকের পরিচয়ে মস্কো গমন করেন। মস্কো থেকে রোম হয়ে তিনি জার্মানী পৌঁছান। তিনি বার্লিনে মুক্ত ভারতীয় কেন্দ্র (Free India Center) গড়ে তোলেন।
ভারতের স্বাধীনতার জন্য তিনি জার্মান চ্যান্সেলর এডলফ হিটলারের সাহায্য প্রার্থনা করেন। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতার ব্যাপারে হিটলারের উদাসিনতা তার মনোবল ভেঙ্গে দেয়। ফলে ১৯৪৩ সালে সুভাষ বসু জার্মান ত্যাগ করেন। একটি জার্মান সাবমেরিন তাকে সমুদ্রের তলদেশে একটি জাপানি সাবমেরিনে পৌঁছিয়ে দেয়। সেখান থেকে তিনি জাপান পৌঁছান।
ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী
ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী (INA=Indian National Army) মূলত গড়ে উঠেছিল জাতীয়তাবাদী নেতা রাসবিহারি বসুর হাতে। ১৯৪৩ সালে রাসবিহারি বসু এই সেনাবাহিনীর দ্বায়িত্ব সুভাষ চন্দ্র বসুকে হস্তান্তর করেন। একটি আলাদা নারী বাহিনী (রানি লক্ষীবাঈ কমব্যাট)সহ এতে প্রায় ৮৫,০০০ হাজার সৈন্য ছিল। এই বাহিনীর কর্তৃত্ব ছিল প্রাদেশিক সরকারের হাতে, যার নাম দেওয়া হয় ‘মুক্ত ভারতের প্রাদেশিক সরকার’ (আরজি হুকুমাত-ই-আজাদ হিন্দ)। এই সরকারের নিজস্ব মুদ্রা, আদালত ও আইন ছিল। অক্ষ শক্তির ৯টি দেশ এই সরকারকে স্বীকৃতি দান করে। আই.এন.এ’র সৈন্যরা জাপানিজদের আরাকান ও মেইক্টিলার যুদ্ধে সাহায্য করে।
সুভাষ চন্দ্র বসু আশা করেছিলেন, ব্রিটিশদের উপর আই.এন.এ.’র হামলার খবর শুনে বিপুল সংখ্যাক সৈন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে হতাশ হয়ে আই.এন.এ.-তে যোগ দেবে। কিন্তু এই ব্যাপারটি তেমন ব্যাপকভাবে ঘটল না। বিপরীত দিকে, যুদ্ধে পরিস্থিতির অবনতির সাথে সাথে জাপান তার সৈন্যদের আই.এন.এ. থেকে সরিয়ে নিতে থাকে। একই সময় জাপান থেকে অর্থের সরবরাহ কমে যায়। অবশেষে, ব্রিটিশদের কাছে জাপান আত্মসমর্পণ করলে আই.এন.এ. ও আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়।
নিখোঁজ ও মৃত্যু
বিপ্লবী এই মহান নেতার মৃত্যু নিয়ে রহস্য আজও রয়ে গেছে। রয়েছে মতানৈক্য। কেউ বলেন নেতাজী সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে বন্দী অবস্থায়, সাইবেরিয়াতে মৃত্যুবরণ করেন। আবার কেউ মনে করেন, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আর একটি মতে বর্তমানে রেনকোজি মন্দিরে রাখা নেতাজির চিতাভষ্ম পরীক্ষা করে জানা গেছে, ঐ চিতা ভস্ম নেতাজির নয়। আসলে ভারতবর্ষে নেতাজির তুমুল জনপ্রিয়তায় ঈর্স্বানিত হয়ে একদল উঁচুতলার ভারতীয় নেতা এবং ইংরেজ সরকার মিলিতভাবে ষড়যন্ত্র করে নেতাজীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়। তাই ভারতীয় সরকার কখনো নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জনসমক্ষে আনেনি।
ধর্ম ও আদর্শ
সুভাষচন্দ্র ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু। তিনি ধ্যানে অনেক সময় অতিবাহিত করতেন। স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তবে সারা জীবনভর তিনি মা প্রভাবতী দেবীর আদর্শকে পাথেয় করে পথ চলেছেন। ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি তাঁর দেশপ্রেমিক সত্ত্বার জন্য পরিচিত ছিলেন।
সম্মাননা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুভাষচন্দ্রকে ‘দেশনায়ক’ আখ্যা দিয়ে তাসের দেশ নৃত্যনাট্যটি তাঁকে উৎসর্গ করেছিলেন। উৎসর্গপত্রে কবিগুরু লিখেছেন- ‘স্বদেশের চিত্তে নূতন প্রাণ সঞ্চার করবার পূণ্যব্রত তুমি গ্রহণ করেছ, সেই কথা স্মরণ ক’রে তোমার নামে ‘তাসের দেশ’ নাটিকা উৎসর্গ করলুম।’
আজাদ হিন্দ ফৌজের অভিযান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলেও, সুভাষচন্দ্রের শৌর্য ও আপোষহীন রণনীতি তাঁকে ভারতব্যাপী জনপ্রিয়তা দান করে। নেতাজির জন্মদিন বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে একটি রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। স্বাধীনতার পর কলকাতার একাধিক রাস্তা তাঁর নামে নামাঙ্কিত করা হয়। বর্তমানে কলকাতার একমাত্র ইনডোর স্টেডিয়াম নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম তাঁর নামে নামাঙ্কিত। নেতাজির জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে দমদম বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তিত করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাখা হয়। তাঁর নামে কলকাতায় স্থাপিত হয় নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং দিল্লিতে স্থাপিত হয় নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি। কলকাতা মেট্রোর দুটি স্টেশনের নামকরণ করা হয় নেতাজির নামে। যার একটি ‘নেতাজি ভবন’ (পূর্বনাম ভবানীপুর) ও অন্যটি ‘নেতাজি’ (পূর্বনাম কুঁদঘাট)।
বিখ্যাত উক্তি
সুভাষ চন্দ্র বসুর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তি হলো, ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” (হিন্দিতে, তুম মুঝে খুন দো, ম্যায় তুমহে আজাদি দুঙা)। ৪ জুলাই ১৯৪৪ সালে বার্মাতে এক র্যালিতে তিনি এই উক্তি করেন।
তার আর একটি বিখ্যাত উক্তি হল ‘ভারতের জয়’ (‘জয় হিন্দ’)। উক্তিটি পরবর্তিতে ভারত সরকার গ্রহণ করে নেয়। বর্তমানে এটি ভারতের জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া