Don't Miss
Home / হোম স্লাইডার / রমজানে যারা দাম বাড়াবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাঃ অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী

রমজানে যারা দাম বাড়াবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাঃ অর্থমন্ত্রী

এমএনএ শিল্প ও বাণিজ্য ডেস্কঃ রোজার মাসে কিছু মহল দাম বাড়িয়ে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, যারা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, রমজান নিয়ে যে চিন্তা কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। আর কিছু মহল চেষ্টা করে সুযোগ নেয়ার। যেভাবে দাম ধরে রাখা যায় সেই চেষ্টা করব। বাজারে কেউ কারসাজি করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। দরকার হলে আমদানি করতে হবে। আমরা শুধু ডলারের উপর নির্ভর করে বসে নাই। মাল্টিকারেন্সির দিকে যাচ্ছি।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গতকাল রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি ছাড়াও কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ওই বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, পাঁচ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় সরকার। কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, আর্থিক জরিমানা, ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিলের মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বাজারে কোনো নিত্যপণ্যের ঘাটতি নেই তবে কিছু মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজির কারণে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। সরকার এ বিষয়ে অচিরেই কঠোর পদক্ষেপ নেবে। সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে লাইসেন্স বা ছাড়পত্র বাতিলের মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, গত বছেরের চেয়ে রমজানে প্রয়োজনীয় আটটি পণ্যের ১০-১৫ শতাংশ বেশি এলসি খোলা হয়েছে। ডলার সঙ্কট নেই বলেই গতবারের চেয়ে বেশি পণ্যের এলসি খোলা সম্ভব হয়েছে।

জানা গেছে, সভায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতির সঙ্গে চাহিদা বিশ্লেষণ করে ঘাটতি চিহ্নিত করা এবং রমজানের আগে ঘাটতি মেটাতে পণ্য আমদানি সহজ করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি ঘোষিত মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায় নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া চাল, আটা, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, ডিম ও পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করা কারসাজির হোতাদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থার কঠোর দৃষ্টান্ত স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকে জানান, এতদিন বাজার ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এককভাবে সামলেছে। তবে এখন থেকে আমরা আর একা নই। আমাদের সঙ্গে অর্থ, কৃষি, মৎস্য, প্রাণী, শিল্প ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর তো রয়েছেই। আগামীতে আমরা তাদের সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব। বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়াতে এ সমন্বয়েই সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হবে।

x

Check Also

মার্কিন পররাষ্ট্র

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশটির জনগণ: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

এমএনএ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ, যার সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ...