এমএনএ জাতীয় ডেস্কঃ দীর্ঘ একমাস বন্দিদশার পরে অবশেষে মুক্তিপণের অর্থ দিয়ে জলদস্যুদের হাত থেকে ছাড়া পেল সোমালি জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, অক্ষত আছেন জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিক। রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় ভোর রাত ৩টার দিকে জাহাজটি সোমালিয়া থেকে দুবাই রওনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম।
জানা গেছে, মুক্তিপণের অর্থ বুঝে পাওয়ার পরপরেই টাকা বুঝে নিয়ে জাহাজ থেকে নেমে যায় জলদস্যুরা। বর্তমানে জাহাজটিকে পাহারা দিয়ে সোমালিয়ার জলসীমা পার করে দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর জাহাজ।
তবে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলেও জানান মিজানুল ইসলাম।
এদিকে এক নাবিকের স্বজন এবং এসআর শিপিংয় মারফত জানা যায়, দুবাই যেতে তাদের এক সপ্তাহ লাগবে। দুবাই থেকে নাবিকদের বিমানযোগে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হবে। আর দুবাইতে থাকা নতুন নাবিকদল জাহাজে উঠবে।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে ঈদের আগে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাদের দ্রুত উদ্ধারের তৎপরতা চলছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খুব সহসা নাবিকরা মুক্ত হবে এবং জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ জিম্মিদশা থেকে ছাড়া পাবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে তারা। নাবিকদের উদ্ধারে নানা চেষ্টা করা হয়। চলে কূটনৈতিক তৎপরতা। কিন্তু অগ্রগতি আসতে সময় লাগছিল। ঘটনার পরপরই জাহাজটি উদ্ধারে যায় ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ।
এমনকি জাহাজটির জিম্মি নাবিকদের ঈদও কাটে বন্দী দশায়। তবে তাঁদের ঈদের দিন ভালো খাবার দেওয়া হয় বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। অবশেষে বাংলা নববর্ষের দিন সুখবর এল। নিশ্চিতভাবে এটি নতুন বছর বরণের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে।