এমএনএ অর্থনীতি ডেস্ক : পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঈদুল আজহা উপলক্ষে নতুন নোট বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ থেকেই পাওয়া যাচ্ছে এসব নতুন টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের রাজধানীর ১৪ শাখা থেকে এসব নোট নিতে পারবেন গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, ঈদ উপলক্ষে আজ সোমবার থেকে নতুন নোট বিনিময় করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আসন্ন ঈদের ছুটির শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) নতুন টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় করা হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ১৪টি শাখা থেকেও ৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট প্রতিটি একটি প্যাকেট করে বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হচ্ছে। একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না।
এবার একজন ব্যক্তি বিভিন্ন মূল্যমানের সর্বোচ্চ সাড়ে ১৮ হাজার টাকার সমপরিমাণ নতুন টাকা বদলে নিতে পারবেন। এর মধ্যে ১০০ টাকার ১ প্যাকেট বা ১০ হাজার টাকা, ৫০ টাকার ১ প্যাকেট বা ৫ হাজার টাকা, ২০ টাকার ১ প্যাকেট বা ২ হাজার টাকা, ১০ টাকার ১ প্যাকেট বা ১০০ হাজার টাকা ও ৫ টাকার ১ প্যাকেট বা ৫০০ টাকা নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
তবে নোট উত্তোলনকালে কেউ ইচ্ছা করলে কাউন্টার থেকে পরিমাণ নির্বিশেষে যে কোনো মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করতে পারবেন।
রাজধানীতে যেসব ব্যাংকে ও শাখায় নতুন টাকা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা, ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি শাখা, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, দি সিটি ব্যাংকের মিরপুর শাখা, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বনানী শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখা ও রূপালী ব্যাংকের মহাখালী শাখায় নতুন টাকা পাওয়া যাচ্ছে।
কোরবানির পশুসহ অন্যান্য কেনাকাটায় বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে এবার নতুন-পুরনো মিলে ২০ হাজার কোটি টাকার নোট সরবরাহের ব্যবস্থা রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে একদম নতুন নোট রয়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।