Don't Miss
Home / জাতীয় / সরকার / উন্নয়ন বজায় রাখতে নৌকায় ভোট দিন : প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়ন বজায় রাখতে নৌকায় ভোট দিন : প্রধানমন্ত্রী

এমএনএ রিপোর্ট : উন্নয়ন বজায় রাখতে আসন্ন নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামীতেও নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।’
আজ শনিবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস আমাদের ঐতিহাসিক মাস। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের দিন। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারপর আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। আমরা বিজয়ী হই।
‘বিজয়ী জাতি হিসেবে আজ বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আপনারা জানেন, পদ্মাসেতু থেকে যশোর, খুলনা, বাগেরহাট হয়ে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলসেবা চালুর উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি আমরা।’
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের ফিরিস্তি তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত সরকারের হত্যা-লুটপাট কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে খুলনা নগরী ছিল জঙ্গি-খুনির অভয়ারণ্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জঙ্গি খুনিদের কঠোর হাতে দমন করেছে। খুলনা এখন শান্তির নগরী।
দুর্নীতি করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি করেছেন বলেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। আদালতের রায়ে সাজা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো হাত নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন সবার হাতে মোবাইল ফোন। মোবাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন জনগণের হাতের মুঠোয়ে পৌঁছেছে কৃষিসেবা, চিকিৎসাসেবা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কেউ কুঁড়েঘরে থাকবে না। নিদেন পক্ষে একটা টিনের ঘর হলেও আমরা করে দেব। সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে, জনসভায় নৌকার পক্ষে ভোট চান শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের এখন বই কিনতে হয় না, আমি বইয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। জানুয়ারির ১ তারিখ বই উৎসব হয়। বই কিনতে বাবা-মাকে একটা টাকাও খরচ করতে হয় না। স্বাস্থ্যসেবা দিতে খুলনায় বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছি।
তিনি বলেন, আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। খুলনার উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। ১০টি নয়, ২০টি নয় আজকে ১০০টি প্রকল্প নিয়ে খুলনায় হাজির হয়েছি। এর মধ্যে ৪৮টি উদ্বোধন ও ৫২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা যা ওয়াদা দিয়েছিলাম তার বাইরে যেসব কাজ করলে জনগণের কল্যাণ হয়- সেগুলোও আমরা করেছি। আমাদের লক্ষ্য উন্নয়ন। বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখন ওই মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দর চালু করে দিয়েছি।
এ সময় খুলনাবাসীকে একটা সুখবরও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, খুলনাবাসীকে একটা সুখবর দিতে চাই। ভোলায় অনেক গ্যাস পাওয়া গেছে। সেই গ্যাস আমরা পাইপলাইনে করে বরিশাল ও খুলনা যেন আসে সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। সে ধারাতেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভাগীয় শহরটিতে এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার আজ শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে খালিশপুরে নৌবাহিনীর ঘাঁটি তিতুমীরে অবতরণ করে। এ সময় নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
এরপর সেখান থেকে বেলা ১১টায় খালিশপুর বায়তুল ফালাহ ঈদগাহ মাঠে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৮তম কনভেনশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
আইইবির জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। জাতির জনকের নির্দেশিত পথ মেনেই আমরা চলছি। আমাদের সরকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মানুষ যেন আইনের শাসনের সুযোগ-সুবিধা পায়, সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি।
মুক্তিযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর পেয়েছিলেন। এই স্বল্প সময়ে তিনি রাস্তাঘাট নির্মাণ থেকে রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছিলেন। পিছিয়ে থাকা একটি প্রদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রে উন্নত করেছিলেন। তখন তাকে বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা করেছিলেন প্রকৌশলীরা।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকাকালে আইনের শাসনের অভাবে পাঁচ পাঁচবার সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজ দুর্নীতি উৎখাত করে দুই ধাপ এগিয়েছি আমরা। বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি।
সরকারের উন্নয়নের ফল জনগণ ভোগ করছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত বড় বাজেট আমরা নিয়েছি, বাজেটে এত উন্নয়ন প্রকল্প আর কোনো সরকার নিতে পারেনি। গ্রামপর্যায়ে আমরা উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি। যেন তৃণমূল থেকে উন্নয়নটা উঠে আসে। আমরা জনগণের সেবক, এ বিষয়টি মাথায় রেখে উন্নয়নের কাজ করছি।
খুলনা সফরে প্রধানমন্ত্রী ১০০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
x

Check Also

ব্যাংকের লাভ-ক্ষতির হিসাব তৈরির সুুযোগ জুন পর্যন্ত বাড়লো

এমএনএ অর্থনীতি রিপোর্ট : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে বার্ষিক আর্থিক লাভ-ক্ষতির ...