Don't Miss
Home / জীবনচর্চা / চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার ও উপকারিতা

চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার ও উপকারিতা

এমএনএ ফিচার ডেস্ক : আমলকি আমাদের পরিচিত একটি ফল। এটি দামে যেমন সস্তা ও সহজলভ্য, তেমনি এর রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার সবচেয়ে উত্তম। কারণ এটি একটি পুষ্টিকর উপাদান। আমলকি কাঁচা, চূর্ণ বা তেল হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। এটি একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে, চুল সুন্দর ও মজবুত করে।

মোহাম্মদী নিউজ এজেন্সী (এমএনএ)-এর পাঠকদের জন্য চুলের যত্নে এ বিশেষ প্যাক এবং টিপস দিয়েছেন- রূপ বিশেষজ্ঞ  শেলী আহমেদ

আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে ভিটামিন, মিনারেল এবং খনিজের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

চুল পেকে যাওয়া সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করুন আমলকির তেল। চুলের আগা ফেটে যাওয়া, পেকে যাওয়া রুখতে আমলকি ভীষণ কার্যকরী । এছাড়া আমলকিতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ থাকে যা চুলে খুশকি, উঁকুনের মতো একাধিক সমস্যার প্রতিরোধ করে।

দুই ভাগ করে আমলকি কেটে নিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকিয়ে যাওয়া আমলকিগুলোকে ভালোভাবে গুঁড়ো করে তেলের সঙ্গে মেশান। এবার আমলকি তেলকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে গরম করুন। মাসে দু বার ব্যবহার করুন।

চুলের পুষ্টি এবং চুলকে শক্তিশালী করতে আমলকির বিকল্প কিছু নেই। আমলকি চুলের কন্ডিশনার হিসাবেও কাজ করে। যার ফলে চুল হয়ে উঠে চকচকে আর আকর্ষণীয়। আমলকি ব্যবহারের ফলে চুলের খুসকি দূর হয়ে যায়। এত থাকা ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ডান্ড্রিয়াম আক্রমণে বাধা দেয় ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।

মাথার ত্বক পরিষ্কার করার জন্য আমলা রস খুবই চমৎকার। এটি মাথার খুলি এবং চুল চকচকে করে তোলে। আয়ুর্বেদ মতে, অতিরিক্ত চুল পড়া রোধ করতে আমলকির ভূমিকা অপরিসীম।

আমলকির রস ত্বক এবং চুল উভয়ের জন্য একটি উপকারী টনিক হিসাবে কাজ করে। এটি চুলকে শক্তিশালী করে তোলে। আমলকি শরীরের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবেও ভালো কাজ করে।

নিয়মিত আমলকি ব্যবহারে চুল প্রাকৃতিক ভাবেই অনেক সুন্দর এবং শাইনি হয়ে উঠে। আমলকির পুষ্টি এবং অন্যান্য উপকারী উপাদানের কারণে নিয়মিত আমলকির রস পান করলে আপনার চুল ঘন হয়ে উঠে।

আমলকি চুলের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে এবং আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে। এটি মৃত কোষগুলিও সরিয়ে দেয়। আমলা সাধারণত মেহেদির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়, যার ফলে চুলের রং প্রাকৃতিকভাবেই আরো উজ্জ্বল দেখায়।

শুকনো আমলকির গুঁড়ো সামান্য কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে তারপর সেই মিশ্রণটি পুরো চুলে ম্যাসেজ করে লাগিয়ে আধা থেকে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে দ্রুত চুলের বৃদ্ধি হবে, আর্দ্রতা বজায় থাকবে, চুল হবে মসৃন এবং উজ্জ্বল।

x

Check Also

ঘুম

কম ঘুমালে শরীরে জটিল রোগ দানা বাঁধতে পারে

এমএনএ জীবনচর্চা ডেস্কঃ ঘুম সবারই কমবেশি প্রিয়। কিন্তু এই ঘুমই দুর্লভ হয়ে ওঠে কারও কারও ...