Don't Miss
Home / জাতীয় / সরকার / চূড়ান্তভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নিতে হবে : শেখ হাসিনা

চূড়ান্তভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নিতে হবে : শেখ হাসিনা

এমএনএ রিপোর্ট : চূড়ান্তভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নিতে হবে মিয়ানমারকে। এ বিষয়ে জাতিসংঘ ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে পাশে থাকার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি, ঘরবাড়ি হারিয়ে আপনারা যারা এখানে এসেছেন তারা সাময়িক আশ্রয় পাবেন। তবে আপনারা যাতে নিজে দেশে ফেরত যেতে পারেন সে ব্যাপারে মিয়ানমারকে বলব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘর পোড়ানোর যন্ত্রণা অনুধাবন করতে পারি বলেই মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। যতটুকু পারি আশ্রিতাদের সহযোগিতা দেব। তবে বিশ্ববাসীকেও সঙ্গে থাকাতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানবিক বিবেচনায় আমারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমরা তাদের পাশে থাকব। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত গড়ে তোলার কথাও জানান তিনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন আমাদের ওপর হামলা করেছিল, সেসময় আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। হানাদার বাহিনীরা আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং গণহারে হত্যা করেছিল। ঠিক একইভাবে মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ওপর দমন, নিপীড়ন শুরু করেছে। সেখানে তাদের বাড়িঘড় জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও আশ্রয় দেয়া হচ্ছে। আমি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তবে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যা করার দরকার আমরা সেটি করবো।

এ সময় রোহিঙ্গাদের যেন কোনো কষ্ট না হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে সেজন্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়ক পথে কুতুপালংয়ের উদ্দেশে রওনা হন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর।

সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ১৯০৯ ফ্লাইটটি।

তার সফরসঙ্গী হয়ে ঢাকা থেকে আসেন ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী জাবেদ, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম, কক্সবাজারের সাংসদ সাইমুম সরোয়ার কমল, সাতকানিয়ার সাংসদ আবু রেজা নদভী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সিনিয়র সচিব সইরা বেগম ও এহসানুল করিম।

কক্সবাজার বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শুরু হওয়া বর্বরতায় প্রাণ বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।

x

Check Also

ব্যাংকের লাভ-ক্ষতির হিসাব তৈরির সুুযোগ জুন পর্যন্ত বাড়লো

এমএনএ অর্থনীতি রিপোর্ট : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে বার্ষিক আর্থিক লাভ-ক্ষতির ...