Don't Miss
Home / জাতীয় / জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে বিশ্বে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে বিশ্বে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এমএনএ জাতীয় ডেস্কঃ জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাঙালি জাতির ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত সুধী সমাবেশে পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। নতুন রেলসংযোগের জন্য নির্মিত মাওয়া রেল স্টেশন এলাকায় সুধী সমাবেশে পদ্মায় রেল সংযোগের উদ্বোধনী ঘোষণার ট্রেনযাত্রা করেন শেখ হাসিনা।

ট্রেনে চেপে বসার আগে সাধারণ মানুষ যেভাবে টিকিট কাটবে, সেভাবে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেন তিনি।

এরপর হুইসেল বাজিয়ে এবং পতাকা নাড়িয়ে ছাড়ার সংকেত দিয়ে ট্রেনে চেপে বসেন শেখ হাসিনা ; ভাঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বাণিজ্যিক ট্রেন।

পদ্মার বাধা আগেই জয় করেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের ২৫ জুন সেতু উদ্বোধনের পরদিন থেকে শুরু হয় যান চলাচল। উচ্ছ্বসিত হয় মানুষ।

তবে পদ্মা জয়ে অর্ধেক কাজ শেষ হয় সেদিন। কারণ সেতুতে সড়ক সেতুর পাশাপাশে নিচ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে রেল সেতু। দুই সেতুই একই সঙ্গে চালুর পরিকল্পনা ছিল শুরুতে। তবে নানা কাজে রেলের কাজ পিছিয়ে যায়।

সড়ক সেতু চালুর ১০ মাস পর রেল সেতুর কাজ শেষে গত ৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো সেতু অতিক্রম করে পরীক্ষামূলক ট্রেন। সেদিন একটি গ্যাং কার সেতু অতিক্রম করার তিন মাস পর ৭ সেপ্টেম্বর কমলাপুর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয়। দুই ঘণ্টার কিছু কম সময়ে সেটি ভাঙ্গায় পৌঁছে। পদ্মা সেতু পার হতে এর সময় লাগে আট মিনিটের মতো।

সেদিন থেকেই এই রেল সেতু উদ্বোধনে পদ্মার ওপারে ছিল অধীর অপেক্ষা। প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচিকে ঘিরে সেতুর দুই তীরে সকাল থেকেই সাজ সাজ রর।

উদ্বোধন করার পর যখন ট্রেনটি পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে, সে সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ টেলিভিশনকে নিজের অনুভূতির কথা জানান।

২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি— এগুলো আমরা গড়ে তুলবো। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে ড. ইউনূসের নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, ‘এক ভদ্রলোক। হ্যাঁ, বিশ্বব্যাপী নাম জুড়েছে তার। কিন্তু সামান্য একটি ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে পারবে না বয়সের কারণে, সেটা বলার জন্য বিশ্ব ব্যাংক তার পক্ষে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপরই আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করবো। ইনশাল্লাহ, তা আমরা করে দেখিয়েছি।’

জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণের সেই অমোঘ মন্ত্র ‘বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি অর্থায়ন বন্ধের পর আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছিলাম, আজ তা করে দেখিয়েছি। আবারও প্রমাণ করেছি বাঙালি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ তাকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ যারা ভোটের কথা বলে, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে— আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই এই দেশে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। আর যারা নির্বাচনের ধোঁয়া তুলে আমাদের প্রতিদিন ক্ষমতা থেকে হটায়, তারা কখনও অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। কারণ তাদের প্রতিষ্ঠাই হয়েছে একজন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত দিয়ে এবং ভোটচুরি করা ছাড়া কোনোদিন ক্ষমতায় আসেনি।’ যে কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ৩০০’র মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারপর থেকে তারা নির্বাচন বয়কট, আর নির্বাচন নিয়ে খেলা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, মানুষের জীবন নিয়ে খেলা— এই ধ্বংসযজ্ঞেই মেতে আছে।’

‘পদ্মা নদী রেলে করে পাড়ি দেওয়া, আজকে দিনকে সেই স্বপ্ন পূরণের দিন’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি চলমান বিশ্বমন্দা প্রেক্ষাপটে দেশের সকল অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোয় তার আহ্বানেরও পুনরোল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, কারও কাছে হাত পেতে বা মাথা নিচু করে নয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষ বিশ্ব দরবারে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। এই লক্ষ্যে তার সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৮ লাখ ৪০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীনকে ভূমি ও গৃহ দিয়েছে। সব জেলা উপজেলায় মডেল মসজিদ করে দিয়েছে ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দেশকে আরও উন্নত করা। ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। আড়াই কোটি শিক্ষার্থী বৃত্তি-উপবৃত্তি পাচ্ছে। যাতে দেশটা এগিয়ে যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, এখন আমাদের লক্ষ্য, স্মার্ট বাংলাদেশ। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। ল্যাব করে দিয়ে কম্পিউটার শিক্ষা দিচ্ছি। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং কর্মসূচির মাধ্যমে ৬ লক্ষ্য ফ্রিল্যান্সারকে প্রশিক্ষিত করেছি। ব্রডব্যান্ড সুবিধা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ায় তারা বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘরে বসে দেশ বিদেশের কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে।’

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। দায়িত্ব গ্রহণের পর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয় এবং বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেলপথ সংযোগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে রেল সংকোচন শুরু করে। বন্ধ হয়ে যায় বহু রেললাইন। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমরা রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা এবং কার্যক্রম গ্রহণ করি এবং ২০১১ সালে স্বতন্ত্র রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করি।

তিনি বলেন, গত প্রায় ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ৮৭৩ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করেছে। ২৮০ কিলোমিটার মিটারগেজ রেলপথকে ডুয়ালগেজে রূপান্তর করা হয়েছে এবং ১ হাজার ৩৯১ কিলোমিটার লাইন পুনর্বাসন বা পুনঃনির্মাণ করা হয়। এই সময়ে আমরা ১ হাজার ৩৭টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ ও ৭৯৪টি রেলসেতু পুনর্বাসন বা পুনঃনির্মাণ করেছি এবং ১৪৬টি নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ ও ২৩৭টি স্টেশন ভবন পুনঃনির্মাণ করি।

দেশের রেল যোগাযোগ উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রেলের সার্বিক উন্নয়নে ইতোমধ্যে ১১১টি লোকোমোটিভ, ৬৫৮টি যাত্রীবাহী ক্যারেজ, ৫১৬টি মালবাহী ওয়াগন, ৫০টি লাগেজ ভ্যান বাংলাদেশ রেলওয়েতে সংযুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন রুটে মোট ১৪৩টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে। ১৩৪টি স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাঁর সরকার অভ্যন্তরীন এবং আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে এবং ডুয়েল গেজ এবং ব্রডগেজ দু’ধরনের রেল নেটওয়ার্কই নির্মাণ করে দিচ্ছে। যাতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের রেল আরো সক্ষমতা অর্জন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও ৪৬টি নতুন ব্রডগেজ লোকোমোটিভ, ৪৬০টি নতুন ব্রডগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ, ২০০টি নতুন মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ, ১ হাজার ৩১০টি নতুন ওয়াগন সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশাকরি আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে রেলওয়ে যোগাযোগ আরো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষের জীবনমান আরো উন্নত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকের এই প্রকল্পটি যেটা ভাঙ্গা পর্যন্ত এখন করেছি সেটা ভাঙ্গা থেকে যশোরে সংযোগ হবে। আর যশোর থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত সংযুক্ত হবে। এমনকি বরিশাল, পটুয়াখালি থেকে পায়রা পর্যন্ত এই রেললইনকে যুক্ত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। যদিও সেখানে মাটি নরম থাকায় কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তবে এ ব্যাপারে সাম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা চরছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করাই তার সরকারের লক্ষ্য বলেও উল্লেখ করেন।

স্মার্ট বাংলাদেশে সবকিছু যাতে স্মার্ট হয় তা নিশ্চিত করাই তার সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই প্রকল্পে রেললাইন ছাড়াও নির্মাণ করা হয়েছে সুপরিসর ওয়েটিং রুম, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক টয়লেট, যাত্রীদের উঠানামার সুবিধার্থে লিফ্ট, এক্সিলেটর, বেবি কেয়ার কর্নারসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ১৪টি নতুন স্টেশন। মানোন্নয়ন করা হচ্ছে ৬টি রেলওয়ে স্টেশনের। ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে ৬০টি মেজর ব্রীজ, ১৪৪টি কালভার্ট, ১২৮টি আন্ডারপাস। ২০টি স্টেশনে স্থাপন করা হচ্ছে আধুনিক কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিগনালিং ব্যবস্থা। ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গাতে নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ও সুবিশাল ওভারহেড স্টেশন। ঢাকা হতে যশোর পর্যন্ত স্টেশন এলাকায় ও রেল লাইনের দু’পাশে রোপন করা হচ্ছে ১০ লক্ষাধিক ফলদ, বনজ ও ওষুধি প্রজাতির গাছ।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৯টি জেলা – ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোরকে সংযুক্ত করবে। প্রথম ধাপে ঢাকা হতে ভাঙ্গা অংশ সমাপ্তির মধ্য দিয়ে নতুন ৩টি জেলা- মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় এলো।

রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য (মুন্সিগঞ্জ-২) সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বক্তব্য দেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির স্বাগত বক্তৃতা করেন। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান ও প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী এই পথে ট্রেন উদ্বোধন করলেও যাত্রীদের ট্রেনে চড়তে তিন সপ্তাহ অপেক্ষায় থাকতে হবে। ঢাকা থেকে খুলনা, ঢাকা থেকে যশোরের বেনাপোল এবং রাজশাহী থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পর্যন্ত চলা ট্রেনটির চলার পথ বাড়িয়ে ঢাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে রুট তিনটি চালু হবে আগামী ১ নভেম্বর।

এক নজরে পদ্মা রেলসেতু : বর্তমান সরকারের যোগাযোগ অবকাঠামোর একটি মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৩%। তবে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রকল্পের ৯০% কাজ শেষ হয়েছে। এ অংশে ঢাকা-ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন বসানোর পুরো কাজ শেষ হওয়ায় আজ ১০ অক্টোবর তা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে নতুন চার জেলা মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল হয়ে যশোর পর্যন্ত রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান ভাঙ্গা-পাচুরিয়া রাজবাড়ী রেলপথটি পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে।

এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ এ রেলপথের সুবিধা পাবে। পদ্মা সেতুতে রেল যোগাযোগ পূর্ণতা পাবে যশোর পর্যন্ত রেলপথ প্রস্তুত হওয়ার পর। এর ফলে ঢাকা থেকে দ্রুত রেলপথে ফরিদপুর, বাগেরহাট, যশোর যাওয়া সম্ভব হবে। যাত্রী ও পণ্য সরবরাহের সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। খুলে যাবে পর্যটনের নতুন দিগন্ত।

x

Check Also

শের-ই-বাংলা

বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

এমএনএ ফিচার ডেস্কঃ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। শেরে ...