Don't Miss
Home / আজকের সংবাদ / আন্তর্জাতিক / যুক্তরাষ্ট্র / টেক্সাসে আঘাত হেনেছে ‘ভয়ঙ্কর’ ঘূর্ণিঝড় হার্ভে

টেক্সাসে আঘাত হেনেছে ‘ভয়ঙ্কর’ ঘূর্ণিঝড় হার্ভে

এমএনএ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে আঘাত হেনেছে দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হার্ভে। ঘণ্টায় ২০৯ থেকে ২৫১ কিলোমিটার গতিবেগে চার মাত্রায় রূপ নিয়ে ঘূর্ণিঝড় হার্ভে টেক্সাস উপকূলের আরানসাস ও ও’কনর বন্দরের মধ্যবার্তী স্থান দিয়ে মেক্সিকো উপসাগর থেকে স্থলে উঠে লোকালয়ে আঘাত হেনেছে।

টেক্সাস থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ১০ হাজার লোককে। এছাড়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কা রয়েছে।

আগামী কয়েকদিনে ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে টেক্সাস উপকূল হয়ে লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওই উপকূলজুড়ে চার মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস ও ৯০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় লুইজিয়ানা ও টেক্সাসে দুর্যোগাবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

মেক্সিকো উপসাগর পার হয়ে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে চার মাত্রার হার্ভে টেক্সাসে আঘাত হানার তথ্য জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর। গত এক যুগের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এটাই সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড়।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ইতোমধ্যেই টেক্সাসকে দুর্যোগপূর্ণ স্থান হিসেবে ঘোষণা করে ত্রাণ পাঠানোর নির্দেষ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, অাগামী সপ্তাহে টেক্সাসে যাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আবহাওয়াবিদ অ্যাবট বলছেন, ঘূর্ণিঝড় হার্ভে ক্রমশই বিপজ্জনক আকার ধারণ করছে। হার্ভের যে এলাকা দিয়ে এগিয়ে যাবে সেই পথজুড়ে প্রায় ৬০ লাখ লোক বসবাস করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই এলাকাটিতেই যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ তেল শোধনাগারগুলোর অবস্থান। ঝড় শোধনাগারে আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় এরই মধ্যে তরল জ্বালানির মূল্য বেড়ে গেছে।

প্রাথমিকভাবে রকপোর্ট শহরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। হাইস্কুল, হোটেল এবং অন্যান্য ভবনে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

বন্যা এবং ঝড়ের তাণ্ডবের আশঙ্কায় ঝড়ের পথে থাকা শহরগুলোর হাজার হাজার বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে। তবে সরে যাওয়ার বাধ্যতামূলক নির্দেশ অমান্য করেই কিছু মানুষ খাদ্য, জ্বালানি ও বালুরবস্তা মজুদ করে নিজ বাড়িতে থেকে গেছেন।

ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় কর্পাস ক্রিস্টির শহর ছেড়েছেন প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার বাসিন্দা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহরটির রাস্তায় থাকা কিছু ট্রাক ও গাড়ি জোরালো বাতাসের কবলে পড়েছে। ঝড়ে কাঠের রোডওয়ার্ক চিহ্ন উপড়ে গেছে, উপড়ে পড়া পাম গাছের টুকরা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে।

গতকাল শুক্রবার দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় হার্ভে তিন মাত্রায় আঘাত হানবে। এতে করে প্রতি ঘণ্টায় ১৭৮ থেকে ২০৯ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানার পর ঘরবাড়িসহ গাছপালার ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানানো হয়।

অথচ তা বেড়ে চার মাত্রায় আঘাত হানছে হার্ভে। ফলে ২০০৫ সালের অক্টোবরে ফ্লোরিডায় ঘূর্ণিঝড় উইলমা’র পর সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় অাঘাত হানছে দেশটিতে।

উইলমায় ৮৭ জন লোক মারা গেলেও ওই বছর আরেক ঘূর্ণিঝড় ক্যাটরিনার অঅঘাতে দুই হাজার জনের প্রাণহানি ঘটে।

এর আগে ২০০৪ সালে চার মাত্রার ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল।

x

Check Also

করোনাভাইরাস কেড়ে নিল ‘ল্যারি কিং লাইভ’ খ্যাত সাংবাদিক ল্যারি কিংয়ের জীবন

এমএনএ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  কিংবদন্তি টিভি ব্যক্তিত্ব, ‘ল্যারি কিং লাইভ’ খ্যাত মার্কিন সাংবাদিক ল্যারি কিং ...