Don't Miss
Home / শিল্প ও বাণিজ্য / দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী

দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী

এমএনএ অর্থনীতি রিপোর্ট : দেশের বাজারে চালের দাম কয়েকটা দিন স্থিতিশীল থাকার পরে সম্প্রতি আবার তা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম। প্রতি লিটার সয়াবিনে দুই টাকা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে এই দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বোতলজাত সয়াবিন তেলের ডিস্ট্রিবিউশন সেলের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বেশি দামে ডিও খুলতে হচ্ছে তাঁদের। পাঁচ লিটারের চারটি বোতলে আগে ডিও খুলতে খরচ হতো এক হাজার ৮৮০ টাকা। এখন পড়ছে এক হাজার ৯২০ টাকা। এক ও দুই লিটারের বোতলেও একই হারে দাম বাড়িয়েছে কয়েকটি কোম্পানি। তবে বর্ধিত দামের সয়াবিন তেল এখনো খুচরা বাজারে আসেনি।
বেগমবাজারে একটি কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউশন সেলের একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, সম্প্রতি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে দুই টাকা বাড়ানোয় আমরা নতুন রেটে ডিও কেটেছি।
বর্তমানে বাজারে এক লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১০৮ টাকায়। দুই লিটার ২১৬ টাকা এবং পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল কোম্পানিভেদে ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দামের ওপর প্রতি লিটারে এখন আরো দুই টাকা করে দাম বাড়বে বলে জানা গেছে।
ট্যারিফ কমিশনের একটি সূত্র জানায়, এখনো কোনো কোম্পানি দাম বাড়ানোর আবেদন জানায়নি। বিশ্ববাজারেও তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ মুহূর্তে দাম বাড়ানো অযৌক্তিক বলে মনে করছে সংস্থাটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, তাঁরা প্রতি লিটার সয়াবিনে দুই টাকা দাম বাড়ানোর করেছেন ট্যারিফ কমিশনে। অনুমতি পেলে নতুন দামে তেল বাজারে ছাড়া হবে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণেই দাম বাড়ানোর অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, পাইকারি বাজারে কিছুদিন আগে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। প্রতি মণ তেলে ১০০-১১০ টাকা বেড়েছে। জাহাজ আসতে বিঘ্ন ঘটায় এ দাম বাড়ানো হয়েছিল। তবে এখন সেই সংকট কেটে যাওয়ায় সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বর্তমানে ৮৫-৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাহাজে সমস্যার কারণে দাম যেটুকু বেড়েছিল, তা আবার কমতে শুরু করেছে। এটা সাময়িক। বিশ্ববাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। যে কারণে দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
এদিকে খুচরা বাজারে আবারও বেড়েছে চালের দাম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও চালের দাম বাড়া অযৌক্তিক বলে মনে করছে ক্রেতারা।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মূলত মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে বেশি। প্রতি কেজি মাঝারি মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬৪ টাকায়। আর উন্নত মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা। পাইজাম বা আটাশ মানের চালগুলো বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫৫ টাকা কেজি দরে। আর মোটা চাল ৪৩-৪৬ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাড্ডা রাইস এজেন্সির ম্যানেজার খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবহনে সমস্যার কারণে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ বেড়েছে। যে কারণে পাইকারি বাজারে বিভিন্ন মানের
চালের দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এই দাম বাড়ানোকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে মনে করছে সাধারণ ক্রেতারা। হাতিরপুল বাজারে এক চালের ক্রেতা আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দাম বাড়া-কমাটা এখন ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। বলে লাভ নেই। আমাদের তো চাল কিনতেই হবে।’
x

Check Also

রমজানে

আসন্ন রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

এমএনএ শিল্প ও বাণিজ্য ডেস্কঃ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘আসন্ন রমজানে কোনো পণ্যের ...