এমএনএ বিনোদন ডেস্ক : কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রয়াত হন তিনি।কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি টুইটারে লিখেন, তার চলে যাওয়া আমাদের জন্য বেদনার। এ শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। সঙ্গীতের পাশাপাশি তিনি ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে উৎসাহী ছিলেন।
এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে তাকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। এতে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন এই গুণী শিল্পীর ভক্ত -অনুরাগীরা। ওই দিন ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, তার অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। তাকে আবার নেওয়া হয়েছে ভেন্টিলেশনে।
গত সপ্তাহেই ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়েছিল তাকে। চিকিৎসক প্রীত সামদানি এবং তার টিমের পর্যবেক্ষণে ছিলেন লতা।
এ বছরের শুরুতেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে লতার। এরপর ভর্তি করা হয় মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। তার শরীরে সামান্য উন্নতির আভাস পাওয়া গিয়েছিল। তবে শনিবারের পাওয়া খবর, তার আবারও শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর অবনতি হয়।
উপমহাদেশের সঙ্গীতের এ কিংবদন্তি ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতবর্ষ ছাপিয়ে তার সঙ্গীত পৌঁছে গেছে সারা বিশ্বের সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদমাঝারে। লতার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির গান রেকর্ডের মাধ্যমে। সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে ২৫ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন ভারতের বুলবুল খ্যাত এই শিল্পী। বাংলায়ও করেছেন অনেক গান। শুধু বাংলা বা হিন্দি নয়, এখন পর্যন্ত ৩৬টি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। ধ্রুপদি থেকে রোমান্টিক, গজল, ভজন গানের প্রতিটি ধারায় তার স্বচ্ছন্দ বিচরণ সুরেলা আবেশ আচ্ছন্ন করে রেখেছে সঙ্গীতপিপাসুদের।