এমএনএ জাতীয় ডেস্কঃ পাহাড়ে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, পাহাড়ে সহিংসতার ঘটনায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। কোনো অবস্থায় পরিস্থিতির অবনতি করা যাবে না। যারা চেষ্টা করবে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙামাটিতে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সহিংসতার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ।
রাঙামাটি রিজিয়নের প্রান্তিক হলে পাহাড়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙামাটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এই সভা অনষ্ঠিত হয়। এর আগে উপদেষ্টারা উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এদিকে রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় পরিবহন ভাংচুর এবং চালকদের মারধরের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নির্দিষ্ট গন্তব্য থেকে দূরপাল্লার কোন যান ছেড়ে যায়নি। শহরেও সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে শহরে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মানুষ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। পুরো শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সড়কে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ, বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। সাম্প্রদায়িক ঘটনার জেরে পাহাড়িরাও শনিবার সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলার সড়ক ও নৌপথে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা পালন করছে।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত এবং উভয় পক্ষের ৫৩ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর, মসজিদ, বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাঙ্গামাটি শহরে এখনো ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।