এমএনএ অর্থনীতি রিপোর্ট : দেশে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে চলতি মৌসুমে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ২০০ থেকে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)।
গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাগর–রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ এ কথা বলেন বিজিবিএ’র সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসাইন বাবুল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশানে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২৩ জনের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি নাগরিক। তাদের মধ্যে যে নয়জন ইতালীয় নিহত হয়েছেন তারা এ দেশে রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসার সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। এদের অনেকের এ দেশে বায়িং হাউস ছিল। কিন্তু এ সন্ত্রাসী হামলার ফলে, দেশের রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসায় নেতিবাচক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বিখ্যাত কোম্পানিগুলো এ দেশ থেকে তাদের ব্যবসা সংকোচনের চিন্তা করছে। বিদেশি ক্রেতারা নুতন করে ব্যবসা সম্প্রসারণের বিষয়ে নেতিবাচক মতামত ব্যক্ত করেছে। ইতোমধ্যে বায়িং হাউসগুলো তাদের নেতিবাচক অবস্থানের কথা আমাদের জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট পশ্চিমা ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ দেয়ার সময়। যেহেতু এটি একটি সময় নির্ধারিত ব্যবসা, তাই নির্ধারিত সময়ে ক্রয়াদেশ দিতে অপারগ হলে ক্রেতারা অন্যত্র ব্যবসা স্থানান্তর করতে পারে। এটা হলে, তা হবে একটি প্রচণ্ড ক্ষতির সংকেত।’
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মধ্যেও সরকারের ভূমিকার কারণে তাদের ব্যবসা–বাণিজ্যের কার্যক্রম চলমান আছে মন্তব্য করে বাবুল বলেন, ‘বর্তমানে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে রেডিমেড গার্মেন্টস ৮২ ভাগ অবদান রেখে চলেছে। এ সেক্টরে ৪০ লাখ কর্মী বিদ্যমান আছে। তাছাড়া আছে, ব্যাংকসহ উদ্যোক্তাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পুঁজি। এ কর্মীদের কর্মসংস্থান বজায় রাখা ও বিনিয়োজিত পুঁজির নিশ্চয়তা বিধান সরকারকেই করতে হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবিএর সভাপতি বলেন, ‘দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ইতোমধ্যে দুটি টার্কিশ কোম্পানির সিইও বাংলাদেশে তাদের সফল বাতিল করেছেন। আগামী ২২ জুলাই জাপানের একটি কোম্পানির এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরের কথা থাকলেও তারাও সফর বাতিলের কথা জানিয়েছেন।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সভাপতি কাইয়ুম রেজা চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ জাবেদ মাহমুদ প্রমুখ।