Don't Miss
Home / জাতীয় / রাজধানী / বদলে যাচ্ছে ঢাকা সার্কুলার রুটের গতিপথ

বদলে যাচ্ছে ঢাকা সার্কুলার রুটের গতিপথ

এমএনএ রিপোর্ট : ঢাকা সার্কুলার রুটের একাংশের নকশায় কিছুটা পরিবর্তন আনায় বদলে যাচ্ছে এর গতিপথ। আব্দুল্লাহপুর থেকে শুরু হয়ে ধউর-বিরুলিয়া-গাবতলী-বাবুবাজার-কদমতলী-তেঘরিয়া-পোস্তগোলা-ফতুল্লা-চাষাঢ়া-হাজিগঞ্জ-শিমরাইল-ডেমরা পর্যন্ত রুটটির পশ্চিম অংশ নির্মাণ করার কথা। তবে বিপত্তি বেঁধেছে সোয়ারীঘাট থেকে পোস্তগোলা অংশে। এখানে লঞ্চঘাট ও অনেকগুলো পাকা স্থাপনা থাকার কারণে বদলে ফেলা হচ্ছে সার্কুলার রুটের সোয়ারীঘাট-পোস্তগোলা অংশের গতিপথ।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, সোয়ারীঘাটে একটি উড়ালপথ নির্মাণ করে সেটি তেঘরিয়া পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। আর তেঘরিয়া-পোস্তগোলা অংশটি জুড়ে দেয়া হবে ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে। সরকারের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (আরএসটিপি) ঢাকা সার্কুলার রুটের যে গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল, সোয়ারীঘাট-পোস্তগোলা অংশটি নতুন পরিকল্পনায় বদলে যাচ্ছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও সার্কুলার রুটটির একাংশ বাস্তবায়নে আগ্রহী সংস্থা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পূর্ব ও পশ্চিম—এ দুই ভাগে নির্মাণ করা হবে ঢাকা সার্কুলার রুট। পশ্চিম অংশটি নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ শেষ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। পিডিপিপি (প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা) অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে সংস্থাটি। সার্কুলার রুটের পশ্চিম অংশ নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। অংশটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৫ কিলোমিটার, যেটিতে নির্মাণ করা হবে চার লেন সড়ক। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পাশাপাশি অংশটি সরকারের সেতু বিভাগও নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সার্কুলার রুটের পূর্ব অংশটি নির্মাণ করা হবে বালু নদীর তীরঘেঁষে। আব্দুল্লাহপুর থেকে ডেমরা পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে ২৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক। প্রকল্পের মাধ্যমে টঙ্গী রেলওয়ে ব্রিজ থেকে ডেমরা ঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন করা হবে। সার্কুলার রুটের পূর্ব অংশটি ইস্টার্ন বাইপাস নাম দিয়ে নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এজন্য সংস্থাটি ২০ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একটি ডিপিপিও প্রস্তুত করেছে।

ঢাকা সার্কুলার রুটের পূর্ব অংশ বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পপূর্ববর্তী কাজগুলো অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহপুর-ধউর-বিরুলিয়া-গাবতলী-বাবুবাজার-কদমতলী-তেঘরিয়া-পোস্তগোলা-ফতুল্লা-চাষাঢ়া-হাজিগঞ্জ-শিমরাইল-ডেমরা অংশে চার লেনের সড়ক নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে সোয়ারীঘাট-পোস্তগোলা অংশে আরএসটিপি নির্দেশিত গতিপথে পরিবর্তন আনা হয়েছে। চার লেনের সড়কটির ইন্টারসেকশন ও ইন্টারচেঞ্জগুলোয় উড়ালপথ নির্মাণ করা হবে।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সড়কটি নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা সমন্বিতভাবে করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যেন এ রুটে মেট্রোরেল, লাইট রেল বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়, সে সংস্থান রেখেই ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। এজন্য রেললাইনের জন্য ১০ মিটার ও রেলওয়ে স্টেশনের জন্য ২৫ মিটার জায়গা সংরক্ষণ করা হবে। ভবিষ্যতে যেন এখানে মেট্রোরেল নির্মাণে সমস্যা না হয়, সেজন্য সড়কঘেঁষে ১০ মিটার ও স্টেশনের জন্য ১৫ মিটার জায়গা অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সড়কটির মাঝ দিয়ে এলিভেটেড সড়ক নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার সংস্থান করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করলে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ উইং) আশরাফুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, আমরা যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও নকশা করেছি, তাতে অ্যালাইনমেন্টে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সড়কটি নির্মাণে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পের সুপারভিশন কনসালট্যান্ট নিয়োগের কাজ চলমান আছে। আশা করছি, শিগগিরই আনুষঙ্গিক কাজগুলো শেষ হবে।

সার্কুলার রুটের পূর্বাংশে নির্মাণ করা হবে প্রায় ২৬ কিলোমিটার সড়ক। বালু নদীঘেঁষে নির্মাণ করা সড়কটি বেড়িবাঁধ হিসেবেও কাজ করবে। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল পাউবো। উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা মহানগরীর যানবাহনের চাপ কমানো। পাশাপাশি সড়কটিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হিসেবে কাজে লাগানো। তবে নানা কারণে প্রকল্পটি আর এগোয়নি।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, ইস্টার্ন বাইপাস নাম দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। বাঁধটির ওপর নির্মাণ করা হবে সড়ক। এরই মধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি প্রস্তুত করা হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাপতিত্বে ডিপিপির ওপর একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

x

Check Also

শের-ই-বাংলা

বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

এমএনএ ফিচার ডেস্কঃ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। শেরে ...