Don't Miss
Home / হোম স্লাইডার / মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে খালেদার আপিল

মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে খালেদার আপিল

এমএনএ রিপোর্ট : দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হয়েছে।

ফেনী-১ আসনের জন্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বগুড়া-৬ ব্যারিস্টার নওশাদ জমির এবং বগুড়া-৭ আসনের জন্য অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনটি মনোনয়নপত্রের জন্য পৃথকভাবে এই আপিল জমা দেন।

ফেনী ও বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা গত ২ ডিসেম্বর যাচাই বাছাই শেষে খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্রই বাতিল ঘোষণা করেন।

দুর্নীতি মামলায় দুই বছরের বেশি সাজা হওয়ার বিষয়টিকেই মনোনয়নপত্র বাতিলের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।

এর সমালোচনায় বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের নেত্রীর মনোনয়নপত্র বতিলের বিষয়টি ‘সরকারের নীল নকশার অংশ’।

কারাবন্দি খালেদা জিয়া তিনটি আসনে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে রোববার তিনটি আসনেই তা বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসাররা।

ফেনী-১ আসন ও জিয়া পরিবারের আসন বলে পরিচিত বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৭ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

এর মধ্যে বগুড়া-৭ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী মোরশেদ মিল্টনেরও মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে বাকি দুই আসনে রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন।

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।

গত রবিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, এ বিষয়ে তার আইনজীবী হিসেবে আপনারা কী পদক্ষেপ নেবেন-জানতে চাইলে ব্যারিস্টার বাদল বলেন, সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের মামলা থাকা সত্ত্বেও তাদের পদ অবৈধ হয়নি।

‘আর বিএনপিসহ সরকারবিরোধীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতে আদালতের মাধ্যমে এই কৌশল নিয়েছে সরকার। আমরা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করব, উচ্চ আদালতে যাব।’

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বিএনপি নেতারা আশা করছিলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে তিনি ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সে অনুযায়ী ফেনী ও বগুড়ার তিনটি আসনে তাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু গত সপ্তাহে হাই কোর্টে এক মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।

এর ফলে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতার আপিল করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আটকে যায়।

একজন বিএনপি নেতা ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলেও সর্বোচ্চ আদালতের সাড়া পাননি।

x

Check Also

শের-ই-বাংলা

বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

এমএনএ ফিচার ডেস্কঃ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। শেরে ...