Don't Miss
Home / এই দেশ / মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন আরও ১০ বীরাঙ্গনা

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন আরও ১০ বীরাঙ্গনা

এমএনএ রিপোর্ট : একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসরদের হাতে নির্যাতিত আরও ১০ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৬০তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি গেজেটও জারি করা হয়েছে।

এ নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৭১ জন বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন। তারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মত অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

সর্বশেষ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ১০ বীরাঙ্গনা হলেন– বরগুনার পাথরঘাটার হোগলাপাশা গ্রামের হাসি রানী অধিকারী, নাটোরের লক্ষ্মীপুরের মোছা. মহারানী, সিলেটের গোয়াইনঘাটের মোছা. কোকিলা বেগম, সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মোছা. পাতাশী, ঝিনাইদহের কাঞ্চননগরের জয়গুন নেছা, কালিগঞ্জের ফাতেমা বেগম, নাটোর সদরের মোহনপুরের তপেজান, নেত্রকোণার কলমাকান্দার রোকিয়া খাতুন, মুন্সিগঞ্জ সদরের কেওয়ার মাসুদা বেগম ও নড়াইলের লোহাগড়ার মোসা. আফিয়া বেগম।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে একটি জাতীয় দৈনিকে মুক্তিযুদ্ধে ১২৬ জন বীরাঙ্গনার অবদান ও দুঃখ দুর্দশা নিয়ে ১২ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট করে একটি বেসরকারি সংগঠন। ওই রিটে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি বীরাঙ্গনাদের স্বীকৃতি দিতে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করে সরকার। এরপর এ পর্যন্ত ২৭১ জনকে বীরাঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। স্বীকৃতিপ্রাপ্তদের মধ্যে সমকালে প্রকাশিত ৭৬ জন বীরাঙ্গনা রয়েছেন।

বর্তমানে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক দশ হাজার টাকা ভাতা পান। গেজেটভুক্ত বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধারাও একই সমান ভাতা পাবেন। এ ছাড়া সরকারি চাকরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবাসহ সকল ক্ষেত্রে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পান, তার সবটাই পাবেন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা।

x

Check Also

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতির পিতাকে হত্যার পর সমস্ত অর্জন নষ্ট করে দেয়া হয়ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এমএনএ জাতীয় ডেস্কঃ জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে ...