এমএনএ অর্থনীতি ডেস্ক : রাজধানীতে গত সপ্তাহের তুলনায় তেল, চাল, লবনসহ কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের দাম হঠাৎ করেই বেড়েছে। সেই সঙ্গে রসুনের দামে দেখা গেছে লাগামহীন ভাব।
মোহাম্মদপুরের কৃষি বাজারের মুদি দোকানি নূর হোসেন বলেন, মিল পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারেও দুই ধাপে মোট চার টাকা বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা ইমরুল কায়েস জানান, বোতলজাত সয়াবিনের পাশাপাশি খোলা পাম তেলের দামও কেজিতে ৮ টাকা করে বেড়েছে।
মেসার্স খায়ের অয়েল স্টোরের এই বিক্রয়কর্মীর দাবি, মিল পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা খোলা পাম তেল ৭৭ টাকায় বিক্রি করছেন, যা গত সপ্তাহ আগে ৬৮ ছিল।
কারওয়ানবাজার ও হাতিরপুলে নাজিরশাইল ছাড়া সব ধরনের চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, মিনিকেট ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায় ও স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৪/৩৫ টাকা কেজি দরে।
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে কেজিপ্রতি তেলাপিয়া ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১৩০ টাকায়, রুই ৩০০ টাকায়, কাতল ৩৫০ টাকায়, কোরাল মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।
মোহাম্মদপুরের কৃষি বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৪০ টাকা দেখা গেলেও কারওয়ান বাজারে তা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আবার কারওয়ান বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম ডজন একশ টাকায় পাওয়া গেলেও মোহাম্মদপুরের কৃষি বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ১১০ টাকায়।
গরুর মাংস আগের মতোই কেজিপ্রতি ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুরের কৃষি বাজারে।
রসুনের দাম লাগামছাড়া
১৫ থেকে ২০ দিন আগে আমদানি করা চীনা রসুনের দাম পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ১৬৫ টাকায় উঠেছিল। আর খুচরায় উঠেছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
চলতি সপ্তাহে তা কমতে শুরু করলেও গতকাল শুক্রবার খুচরা বাজারে দামে তারতম্য দেখা যায়নি।
গত সপ্তাহের মতোই ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় প্রতিকেজি চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকার বাজারগুলোতে।
কারওয়ান বাজারে আল মদিনা স্টোরের বিক্রয়কর্মী জানান, তারা পাইকারি মার্কেট থেকে প্রতিকেজি ১৭০ টাকায় কেনা রসুন এখন ১৮০ টাকার কমে বিক্রি করতে পারছেন না।
চলতি বছরের শুরু থেকে প্যাকেটজাত ও খোলা লবণের দাম বাড়তে শুরু করেছিল। ২০ টাকা মূল্যের এককেজি লবণের প্যাকেটের দাম বাড়তে বাড়তে এপ্রিলের দিকে পৌঁছে ৩৫ টাকায়। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খোলা লবণও।
তবে গতকাল শুক্রবার এসিআই লবণের প্যাকেটের গায়ে ৩৫ টাকার পরিবর্তে নতুন মূল্য দেখা যায় ৩৮ টাকা।
আগামী সপ্তাহ থেকে তা ৪৫ টাকা হবে বলে পরিবেশকরা কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানিদের জানিয়ে গেছেন।