Don't Miss
Home / খেলাধূলা / ক্রিকেট / নয়নাভিরাম সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম

নয়নাভিরাম সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম

এমএনএ স্পোর্টস ডেস্ক : নয়নাভিরাম সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চারপাশে সবুজ আর সবুজ। যে সবুজের বেশিরভাগজুড়ে চা বাগান। দুই পাতা আর এক কুঁড়ির শহরে এটাই চিরচেনা দৃশ্য। মাঠের মধ্যে একপাশে একটা টিলামতন। সেখানেও সবুজের ছোঁয়া। টিলাটি ধাপে ধাপে কাটা। হ্যা, ওটাও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারি। বাকি গ্যালারিগুলোর চেয়ে ওখানেই দর্শকদের বেশি আগ্রহ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বর্ণনায় ‘নয়নাভিরাম’ শব্দটা অটোমেটিক চয়েজের মতো। এই স্টেডিয়ামে আসার সুযোগ হয়েছে এমন সবাই মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। সংখ্যায় কম হলেও খেলোয়াড় থেকে শুরু করে দর্শকদের মুখে মুখে শোনা গেছে এই স্টেডিয়ামের সৌন্দর্যর কথা। এবার মুগ্ধতার কথা জানালেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এসেছে সিলেটে। সেই সুবাদে দেশি-বিদেশি প্রায় ২০০ ক্রিকেটার এখন সিলেটে। এতে সিলেট শহরজুড়ে সাজসাজ রব। স্টেডিয়ামের ভেতর প্রায় সবখানে ক্রিকেটার। এক সাথে দুই-তিনটি দলের অনুশীলনের কারণে গ্রাউন্ডসম্যানরাও ঠিকভাবে কাজ করতে পারছিলেন না। তবে ক্রিকেট বা অনুশীলনে নয়, চোখ আটকে গেল সিলেট স্টেডিয়ামে।
গতকাল শুক্রবার ভেন্যুর কথা উঠতেই রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তার মুগ্ধতার কথা জানালেন এভাবে, ‘সিলেটে তিন চার বছর আগে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছিলাম। এটা ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ের মাঠ। গ্যালারি ও ড্রেসিং রুম যেমন দেখলাম, এটা আন্তর্জাতিক মানের। আগেরবার থেকে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। দর্শকদের গ্যালারি অনেক ভাল হয়েছে। এছাড়া এখানে চারটা ড্রেসিং রুম আছে। মাঠটা দেখতেও দারুণ। আমাদের এই মাঠটা আসলে আন্তর্জাতিক মানের।’
ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেও ছুঁয়ে গেছে এই মুগ্ধতা। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলছেন, ‘সিলেট আমার সবসময় ফেবারিট ভেন্যুর মধ্যে একটা। এখানে ঘোরার মতো অনেক জায়গা আছে। সুন্দর সুন্দর হোটেল আছে। স্টেডিয়ামটা দেখতেও বিদেশি স্টেডিয়ামের মতো। আমার মনেহয় আমাদের দেশে ইউনিক। সবমিলিয়ে খুব ভাল পরিবেশ। এখন মাঠের খেলাটাও আমাদের ভাল করে খেলতে হবে।’
মাশরাফি ও সাকিবের পর সিলেট স্টেডিয়ামের প্রশংসায় পঞ্চমুখ খুলনা টাইটান্সের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বললেন, ‘খুবই ভাল লাগছে। এখানে সর্বশেষ আম্বার কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়েছিল। তখনকার চেয়ে এখন সুন্দর লাগছে গ্যালারিটা। আশা করি উইকেটটা ভাল হবে, অনেক দর্শক আসবে। এখানে আমরা দুটি ম্যাচ খেলব, আশা করি সুখস্মৃতি নিয়েই ঢাকায় ফিরতে পারব।’
১৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার সিলেট স্টেডিয়ামটি যাত্রা শুরু করে ২০১৩ সালে। যদিও শুরুতে এত দর্শক ধারণ ক্ষমতা ছিল না। ১৩ হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা ছিল এখানে। পরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজারে। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ দিয়ে সিলেট স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ের সেই ম্যাচের পর মোট ছয়টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে। তবে বাংলাদেশ দল এখনও এই মাঠে কোনও ম্যাচ খেলেনি।
সিলেটে বিপিএল, সিলেট সিক্সার্সও প্রস্তুত। ঘরের মাঠের দল নিয়ে প্রত্যাশাও কম নয়। যদিও সে পথে সিলেটকে নিয়ে খুব বেশি আশা করা ঠিক হবে না। কারণ এবারের বিপিএলে সবচেয়ে দুর্বল দল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে সিলেটকে। দল গড়ার পথে সবচেয়ে কম খরচ করেছে সিলেট সিক্সার্স। তবুও আশায় বুক বেধে আছে সিলেটবাসী। নয়নাভিরাম সিলেট স্টেডিয়ামে সিলেট সিক্সার্সও বুক চিতিয়ে লড়বে- এমনই আশা তাদের।
x

Check Also

টেস্টে বাংলাদেশ ২-০ ম্যাচে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে

এমএনএ খেলাধূলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ২-০ ম্যাচে হেরেছে। ২৩১ রানের মামুলি টার্গেট ...