Don't Miss
Home / হোম স্লাইডার / সূচনাকালে কেমন ছিল গুলশান
আভিজাত্যের রং সবার নজর কাড়ে

সূচনাকালে কেমন ছিল গুলশান

এমএনএ ফিচার ডেস্ক : রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকা ‘গুলশান’। এখানে ধনীদের ব্যস্ততা আর আভিজাত্যের রং সবার নজর কাড়ে। কাঠা প্রতি দাম পাঁচ কোটি হওয়ার পরেও এখানে প্রায় চার লাখ লোক বসবাস করে। কিন্তু আপনি কি জানেন এ অভিজাত এলাকাটির আগের ইতিহাস? কেমন ছিল আগের গুলশান ?

বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্তরাই এখানে বাস করে। গুলশানে রয়েছে দুটি পার্ক,৩৮টি দূতাবাস আর নামিদামি হোটেল ও রেস্তোরাঁ। বর্ধিত ঢাকার নতুন বাণিজ্যিক কেন্দ্র বা কমার্শিয়াল হাব এখন গুলশান এবং এর আশপাশের এলাকা। ঢাকার উত্তরে বসুন্ধরা বা উত্তরা, দক্ষিণে মতিঝিল বা পুরান ঢাকা, পশ্চিমে ধানমন্ডি বা মোহাম্মদপুর আর পূর্বে বনশ্রী, আফতাবনগর যে অঞ্চলই ধরা যাক না কেন, সব এলাকার মোটামুটি মাঝখানে পড়েছে গুলশান এবং বনানী। গুলশানের চারদিকে মহাখালী, তেজগাঁও, বারিধারা, বাড্ডা, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা। এলাকটি মূলত ২টি অংশ যথাক্রমে গুলশান ১ ও গুলশান ২ নামে পরিচিত। গুলশান ২-এ বড় একটি অংশেই বিদেশী দূতাবাস বা অফিসসমূহের অবস্থান। ঢাকার অন্যতম গাছপালা শোভিত এই এলাকা যদিও একটি আবাসিক এলাকা হিসেবে উল্লিখিত কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে এটি একটি বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হয়েছে ও হচ্ছে।

ঢাকার সম্প্রসারিত এলাকা গুলশান মূল ঢাকার একেবারে বাইরে অবস্থিত। এর আগের নাম ছিল ভোলা। তখন অঞ্চলটি ছিল প্রায় জনশূন্য। শুধু ভোলা দ্বীপ থেকে মানুষ এসে চাষবাস করতো এখানে। তাই ঢাকার লোকজন এর নাম দিয়েছিল ভোলা গ্রাম।

নিরিবিলি বসবাসের জন্য সৌখিন মানুষের এখানে নজর পড়লে এই অঞ্চলটি নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। পাকিস্তানের করাচির অভিজাত এলাকা গুলশানের মতো সাজানোর প্রয়াস থাকায় এর নতুন নামকরণ হয় গুলশান। গুলশান শব্দের অর্থ হলো ফুলের বাগান।

দেশ স্বাধীনের পর বাংলার বুক থেকে ভোলা নামটি একেবারে হারিয়ে যায়। আশির দশকের ছিমছাম আবাসিক এলাকা নব্বই দশকে বিভিন্ন ডেভলপার কোম্পানির চোখ পড়ে।

গুলশান ক্লাবের একটি প্রকাশনায় মোহাম্মদ নবীর লেখা থেকে জানা যায়, পারি গুলশান প্রথমে ছিল এক ছায়াঘেরা বন। পরে ধনকুবের জহুরুল ইসলাম জায়গাটিকে আবাসিক এলাকায় রূপ দেন। এরপর সেই সময়ের তৎকালীন সময়ে ডিআইটির চেয়ারম্যান মাদানি সাহেব পুরো ভোলা গ্রামটি অধিগ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় কাঠামো নির্মাণ করেন।

সাত দশকে ঢাকার স্মৃতি গ্রন্থে নাজির হোসেন নাজির লেখায় উঠে এসেছে, কোনো ব্রিজ না থাকায় সে সময় মহাখালী থেকে গুলশানে হেঁটে আসতো।  দুটি বাজারের কাঠামো নির্মাণ শুরু হলেও তা চালু হতে বেশ কয়েক বছর দেরি করতে হয়। ষাটের দশকে গুলশানে বাস, সেতু, সড়কবাতি, থানা-পুলিশ, নিরাপত্তা, স্কুল-কলেজ, বাজার কোনো  কিছুই ছিল না।

মীজানুর রহমান ঢাকা পুরান গ্রন্থটিতে লিখেছেন গুলশানের বনগুলোতে সত্তর দশকে ছোট বাঘ বা মেছো বাঘের দেখা মিলতো।

বর্তমানে গুলশান জামে মসজিদের নামফলকে ভোলা নামটি আর গুলশান দুইয়ের ৮০ নম্বর সড়কের প্রায় দশটি বাড়ি ছাড়া কোথাও গুলশানের সেই পুরনো ঐতিহ্য খুঁজে পাওয়া যায় না।

x

Check Also

শের-ই-বাংলা

বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

এমএনএ ফিচার ডেস্কঃ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। শেরে ...