এমএনএ জীবনচর্চা ডেস্কঃ বৈচিত্র এ দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ভূ-প্রকৃতি, আবহাওয়া থেকে শুরু করে বসনভূষণ – সবেতেই তার ছোঁয়া। প্রদেশভেদে সিল্কের টেক্সচার, প্রিন্টে আসে বদল।
এ বঙ্গে দক্ষিণের বেঙ্গালুরু, মাইসুরু সিল্ক যেমন জনপ্রিয়, তেমনই মুর্শিদাবাদ সিল্ক বা অসম সিল্কও পিছিয়ে নেই। সনাতনি এই সব সিল্কে প্রিন্ট বা মোটিফ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা বহু দিন ধরেই চলছে। কখনও ডিজিটাল প্রিন্টের আধুনিকতা, কখনও আবার পশমিনা বা কাঁথা কাজের সাবেকিয়ানায় সিক্ত হয় সিল্ক।
এ বারের ফ্যাশনে চার ধরনের সিল্কে সেজে উঠেছেন অনেকেই। কালো, সবুজ, কমলা ও হলুদ রঙের গরিমায় ভাস্বর ইক্কত সিল্কের ঔজ্জ্বল্য। তাতে স্মার্টনেসের মাত্রা যোগ হয়েছে বেল্টের সৌজন্যে।
আবার জরির বর্ডার দেওয়া কাঞ্জিভরম সিল্কটি যেমন হালকা, তেমনই সহজ এটিকে ড্রেপ করা। সাদা বেসের উপরে পেজলি প্রিন্ট শাড়িতে এনেছে এক ধরনের ভারসাম্য, যে কারণে শীতের পার্টিতে গ্ল্যাম কোশেন্টের সঙ্গে আরামের হবে সুন্দর সহাবস্থান।
আবার আকাশি বেনারসি সিল্কের উপরে রুপোলি জরি ও ঘন নীল সুতোর জামেবার শাড়িটির মধ্যেই যেন রয়েছে উৎসবমুখরতা। কালো পাড় আর কমলা স্ট্রাইপ দেওয়া বিষ্ণুপুরী সিল্কটির মূল আকর্ষণ হল আঁচলে ও শাড়ির নীচের দিকে ডিজিটাল প্রিন্ট। সিল্কের পরশে অল্প সাজেই আপনিও হয়ে উঠতে পারেন অনন্যা।