Don't Miss
Home / জাতীয় / যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এমএনএ জাতীয় ডেস্কঃ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ সংশ্লিষ্টদের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুদ্ধ মানবতার জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না বলে সতর্ক করেছেন শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স (এমএসসি) ২০২৪-এর সাইডলাইনে হোটেল বেয়েরিশার হফে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন আমরা সবধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আজ জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার সময় কীভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে তিনি বারবার আলোচনা করেছেন।

ড. হাছান বলেন, বৈঠকে তারা গাজায় নিরপরাধ নারী-পুরুষের ওপর হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, যুদ্ধ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধের মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ লিপ্ত দেশগুলোর জন্য তা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না এবং তাদের জনগণকে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।’

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ এবং তিনি নিজেও যে দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন তার স্মৃতি স্মরণ করেন। তিনি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বন্দিদশায় তার অমানবিক কষ্ট এবং তার একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মের কথা স্মরণ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও জেলেনস্কির মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ স্পষ্টভাবে উঠে আসে।

এক প্রশ্নের জবাবে হাছান বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং যুদ্ধের পর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’তিনি বলেন, তারা শুধু যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনা করেছেন।

জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূর এলাহী মিনা ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেন। সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামীকাল রোববার রাতে মিউনিখ ত্যাগ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।

x

Check Also

ওলামা

জনদুর্ভোগের কারণে ঢাকাবাসীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করলো ওলামা মাশায়েখরা

এমএনএ জাতীয় ডেস্কঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি মহাসম্মেলনের কারণে ঢাকায় সৃষ্ট জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে দুঃখ ...