এমএনএ জাতীয় ডেস্কঃ বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাস আর লুটপাটের কারণে আতঙ্কে রয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের পর বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বান্দরবানে। এবার সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু জানান, শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বান্দরবানের রুমাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। এ সময় তিনি বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যাবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
এদিকে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব বলেছে, ব্যাংক ম্যানেজারকে নিরাপদে উদ্ধারে কোনো ঝুঁকি নেননি সদস্যরা। গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএপের সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগেও কুকি-চিন সদস্যরা টাকার বিনিময়ে জঙ্গিদের অস্ত্র পরিচালনা প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল বলে জানান তিনি। গত দুই দিনে কেএনএফ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা লুট, মোবাইল লুট ও ১৪টি অস্ত্র লুটসহ বিভিন্ন অপরাধ করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফের সন্ত্রাসীরা। তারা স্থানীয় বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়। পরে স্থানীয় চা দোকানে থাকা ব্যাংক ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে ভল্টের চাবি ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু তারাবি নামাজের জন্য মসজিদে থাকা ব্যাংক ম্যানেজারের কাছ থেকে চাবির অপর গোছাটি না পেয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় কেএনএফ সদস্যরা।