এমএনএ জাতীয় ডেস্কঃ দীর্ঘ সময় দেশ শাসনের পর তীব্র আন্দোলনের তোপে পড়ে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদত্যাগের করেই দেশ ছেড়েছেন তিনি। এই পদত্যাগের ফলে দেশজুড়ে বিজয় উল্লাস করছেন নারী-শিশুসহ দেশের আপামর জনগণ। রাজপথসহ অলিগলিও সেজে ওঠে রঙে রঙে। রাজধানী মুখরিত হয়ে ওঠে ‘স্বৈরাচার পালিয়েছে, দেশ আজ সেজেছে’ স্লোগানে।
গণভবনের লেকে গোসল করছিলেন শত শত মানুষ। তারা সেখানে নেমে গোসলের পাশাপাশি নানা স্লোগান করছিলেন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন।
জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে মাঠে নামেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সেই আন্দোলনে সংহতি জানায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে যোগ দেন অভিভাবকরা। একপর্যায়ে চীন থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে সে সময়ে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে ইঙ্গিত করেন। এরপর আন্দোলন আরও জোরদার হয়ে ওঠে। সেদিন থেকে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার/কে বলেছে, কে বলেছে, স্বৈরাচার, স্বৈরাচার।’ এরপর রংপুরে আবু সাঈদসহ বেশ কয়েকজন নিহত হলে একদফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থী-জনতা।
সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে সব ধরনের চেষ্টা চালায়। দফায় দফায় সংঘর্ষে শত শত শিক্ষার্থী প্রাণ হারান। সঙ্গে সাধারণ জনতাও মারা যায়। বাদ যায়নি শিশু-কিশোরও। পরপরই ফুঁসে ওঠে সব শ্রেণির মানুষ। তারপর আজ সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলো। বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে যাত্রা করে। এ সময় তাঁর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারা হেলিকপ্টারে ভারতের ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা দেন। এর আগে তিনি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।