Don't Miss
Home / আজকের সংবাদ / আন্তর্জাতিক / গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিল রাশিয়া ও চীন
যুদ্ধবিরতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিল রাশিয়া ও চীন

এমএনএ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গত বছরের অক্টোবর মাস থেকেই চলছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের যুদ্ধ। হয়েছে যুদ্ধবিরতিও দুই দফা। তবে এবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তোলা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া, চীন ও আলজেরিয়া।

শুক্রবার (২২ মার্চ) নিরাপত্তা পরিষদে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ভেটো দিয়েছে দেশগুলো। তবে যুদ্ধবিরতির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে ১১টি দেশ। আর ভোটদানে বিরত ছিল গায়ানা।

ভেটো দেওয়ার পর এ নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবাঞ্জা। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাব হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভণ্ডামি। যেখানে গাজায় প্রথমদিকে ইসরায়েলকে থামাতে যুক্তরাষ্ট্র কিছু করেনি। সেখানে তারা এমন সময় যুদ্ধবিরতির কথা বলছে যখন গাজা কার্যত পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমরা এখানে একটি পুরোনো ভণ্ডামির প্রদর্শনী দেখেছি।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক কারণে রাশিয়া-চীন তাদের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। কারণ তারা যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় চায়। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা-থমাস গ্রিনফিল্ড বলেছেন, রাশিয়া ও চীন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি কারণ তারা চায় যুক্তরাষ্ট্র যে কোনোভাবে হারুক। আরেকবার রাশিয়া প্রগতির সামনে রাজনীতিকে নিয়ে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, তারা গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি চায়। যেটির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং সব ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে গাজায় জীবন বাঁচানো বিপুল ত্রাণ পৌঁছানো হবে।

এই প্রস্তাবের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আরও তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সবগুলো প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই প্রস্তাবগুলোতেও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় মার্কিনিরা ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে এতে ভেটো দিয়েছিল। ওই সময় তাদের বক্তব্য ছিল, যদি গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয় তাহলে এতে হামাস উপকৃত হবে এবং জিম্মিরা মুক্তি পাবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের তোলা প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকা একমাত্র দেশ গায়ানা বলেছে, এই প্রস্তাবে হামাসের নিন্দা জানানো হয়েছে। তবে একবারের জন্যও ইসরায়েলের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তাহলে কার প্রতি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে? এছাড়া দেশটির দূত ক্যারোলিন রদ্রিগেজ প্রশ্ন করেছেন, কারা গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে? কারা গাজায় হামলা বন্ধ করছে না। এসব প্রশ্নের উত্তর তারা জানেন। তবুও কেন দখলদার ইসরায়েলের কাছে কোনো দাবি রাখা হয়নি?

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১২শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩১ হাজার ৮১৯ ফিলিস্তিনি। আর আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৯৩৪ জন। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।

এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর এমন আচরণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের বদলে রোববার মিশরের সীমান্তবর্তী রাফা শহরে স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। যেখানে হামলার মুখে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

x

Check Also

সৌজন্য সাক্ষাৎ

থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এমএনএ জাতীয় ডেস্কঃ থাইল্যান্ডের রাজা ও রানী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের ...