এমএনএ ফিচার ডেস্ক : আজ ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিনটি বিশ্ব শরণার্থী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশায় বিশ্ব জনমত গঠন ও তাদের এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে রাষ্ট্র ও সরকারকে উদ্বুদ্ধ করাই দিবসটির মূল লক্ষ্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি মানুষ শরণার্থী হিসেবে জীবন-যাপন করছে। আর ভূমধ্যসাগরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছে ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী। আর এই সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে চলতি বছরের গত পাঁচ মাসে প্রাণ হারিয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ।
সম্প্রতি ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্ডলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ২০১৬ সালের শরণার্থী মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তুরস্ক থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসে যাওয়া যায়। লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়া যায়। এর মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালির পথে সাগরযাত্রা বেশি দীর্ঘ। এই পথেই মারা গেছে ২ হাজার ১১৯ জন শরণার্থী। অর্থাৎ এই পথে পাড়ি দেয়া প্রতি ২৩ জন শরণার্থীর মধ্যে ১ জন নৌকাডুবিতে মারা যাচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৫ সালে ইউরোপে শরণার্থীদের তথাকথিত অনিয়মিত আগমনের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৫ হাজার ৫০৪ জন। এই শরণার্থীদের একটা বড় অংশ (৯ লাখ ৭১ হাজার ২৮৯ জন) ইউরোপে এসেছে সাগর পাড়ি দিয়ে। আরও প্রায় ৩৪ হাজার ২১৫ জন এসেছে স্থলপথে। যারা সাগর পাড়ি দিয়েছে তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৬৯৫ জন হয়তো সাগরে ডুবে মারা গেছে, নয়তো নিখোঁজ হয়েছে।
জাতি সংঘ শরণার্থী এজেন্সির তথ্য মতে, সংঘর্ষের কারণে শরণার্থী হওয়ার পরিমাণ ইতিহাসের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।
ধারণা করা হয়, সাড়ে ৬ কোটি মানুষ শরণার্থী হয়েছে ২০১৫ সালে যার পরিমান প্রতি বছর ৫০ লক্ষ করে বাড়ছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে।