এমএনএ ফিচার ডেস্ক : কর্মব্যস্ত জীবনে আজকাল অনেক বাবা-মাই সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। যে কারণে বাবা-মার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে সন্তানের; আর যার প্রভাব পড়ছে শিশুর মনোজগতে। বিশেষজ্ঞদের মত হচ্ছে— শত ব্যস্ততার মাঝেও সন্তানকে সময় দেওয়া উচিত। এর ফলে শিশুসন্তানের সুস্থ বিকাশ হবে এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কও জোরদার হবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্ক জোরদারের কয়েকটি সহজ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে:
রোমাঞ্চকর কাজ
দৈনন্দিন জীবনের যান্ত্রিকতা ছাপিয়ে মাঝে মাঝে সন্তানের সঙ্গে রোমাঞ্চকর কোনো কাজে মেতে উঠতে পারেন বাবা-মা। রোমাঞ্চকর এই কাজ হতে পারে— স্রেফ লাফালাফি বা দৌড়ঝাঁপ, সাইকেল চালানো, নৌকায় চড়া, সাঁতার কাটা কিংবা নিছক বন-বাঁদারে ঘুরতে যাওয়াও। এ ধরনের রোমাঞ্চকর ব্যাপারগুলো শিশুরা খুব উপভোগ করে। এর মধ্য দিয়ে তারা চ্যালেঞ্জ নিতে শিখবে।
সৃজনশীলতার চর্চা
যখনই সময় পান, সন্তানকে সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন। হতে পারে সেটা ঘরে বসে ছবি আঁকা, চমৎকার কিছু তৈরি করা, বুদ্ধিদীপ্ত খেলাধুলা বা গল্প বলার আসর জমানো। অফিস থেকে বাসায় ফিরে শেষ বিকেলে বাবা-মা এ কাজে সন্তানের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।
ঘর গোছানো
নিয়ম করে সপ্তাহে বা মাসের একদিন সন্তানকে নিয়ে ঘর, টেবিল, বই রাখার শেলফ গোছানোর কাজ করা যেতে পারে। এতে তার মধ্যে দায়িত্বশীলতা বাড়বে। তবে এ কাজ করতে গিয়ে শিশুরা যাতে বেশি ধুলাবালির সান্নিধ্যে চলে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
স্বাস্থ্য সচেতনতা
নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় সন্তানকে সঙ্গে নিন। এতে আপনারও ভালো লাগবে। ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে স্বাস্থ্যসচেতন করে তুলুন। অভ্যস্ত করুন নিয়মিত ব্যায়ামে। এ কাজ করতে গিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো ব্যায়ামের পাশাপাশি সন্তানকে সময় দেওয়াও হবে।
জানানো-দেখানো
সন্তানকে নিয়ে জাদুঘর বা দর্শনীয় কোনো স্থান ঘুরে আসুন। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে তাকে জানান। পাশে থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখান।