এবার ১৯ মার্চ জনসভা করতে চায় বিএনপি
Posted by: News Desk
March 12, 2018
এমএনএ রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী ১৯ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে চায় দলটি। জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা সমাবেশের অনুমতির জন্য দরকারি কাগজপত্র পাঠাবো। আশা করছি আমাদের অনুমতি দেয়া হবে।’
একই দাবিতে ১৯ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম, ২৪ মার্চ বরিশাল ও ৩১ মার্চ রাজশাহীতে জনসভা করার ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোহরাওয়ার্দীতে দলটির জনসভা করার কথা থাকলেও পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় ১৯ মার্চ সমাবেশের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
আজ সোমবার সকাল ১১ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ (১২ মার্চ) আমরা জনসভা করার অনুমতি চেয়েছিলাম। এর আগেও আমাদের জনসভার অনুমতি দেয়া হয়েছে শেষ মুহূর্তে এবারও অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু ১৫ দিন আগে অনুমতি চাওয়া হলেও শেষ সময়ে আমাদের জানানো হলো নিরাপত্তার কারণে সমাবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী সরকার অামাদের অনুমতি দেবে। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কর্মসূচি পালনে সহায়তা করবে। কারণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের সমালোচনা থাকবে, কথা বলার অধিকার থাকবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার কারণ হিসেবে ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রতিবেদন আমাদের বিরুদ্ধে। তার মানে কি এখন গোয়েন্দারাই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নির্ধারণ করে দেবে?’
তিনি বলেন, ‘ওয়ার্কার্স পার্টি, চরমোনাই পীর ও জাতীয় পার্টি সমাবেশের অনুমতি পায় কিন্তু বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো জনসভা করতে চাইলেই নিরাপত্তার অজুহাতে অনুমতি দেয়া হয় না। কিন্তু আগে পুলিশের অনুমতির দরকার পড়তো না। তাদের অবগত করলেই চলতো। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এটি নিয়ম করে ফেলেছে।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘এটা নির্বাচনের বছর। আর তাই সরকারেই উচিত বিএনপিসহ সব বিরোধী দলকে সভা সমাবেশের অনুমতি দিয়ে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার দেয়া। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা না করে করছে উল্টোটা। যখনই বিএনপি সভা সমাবেশ করতে চায় তখনই বাধা দেয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারানের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ ও তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ১ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ১১ মার্চ রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। ৩ মার্চ জনসভার দিন পরিবর্তন করে ১২ মার্চ করার ঘোষণা দেন তিনি। ওই দিনই পুলিশসহ সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয় বলে রিজভী সংবাদ মাধ্যমকে জানান। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জনসভার অনুমতি পায়নি দলটি।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে একই দাবিতে সমাবেশ করতে চেয়ে সংশ্নিষ্টদের কাছ থেকে অনুমতি পায়নি বিএনপি। পরে কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি দিলেও ‘অনুমতি না থাকায়’ সেটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে করতে পারেনি। পরে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা।
করতে এবার চায় জনসভা ১৯ মার্চ বিএনপি 2018-03-12