Don't Miss
Home / জাতীয় / আইন-আদালত / চার মাসের জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

চার মাসের জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

এমএনএ রিপোর্ট : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিনের আদেশ দেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটনি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে আপিল শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে পেপারবুক প্রস্তুত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন। পেপারবুক প্রস্তুত হওয়ার পর যেকোনো পক্ষ চাইলে আপিল শুনানির জন্য আদালতে মেনশন (উপস্থাপন) করতে পারবে।
নিম্ন আদালতের পাঠানো এ মামলার ৫ হাজার ৩৭৩ পৃষ্ঠার নথি পৌঁছানোর পর আজ সোমবার দুপুরে আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনতে চান। এরপর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে খোরশেদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে গতকাল রবিবার খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য থাকলেও মামলার নথি এসে উচ্চ আদালতে না পৌঁছায় তা একদিন পিছিয়ে আজ সোমবার দিন ধার্য করা হয়।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্ট বিএনপি চেয়ারপারসনকে চার মাসের জামিন দিয়েছেন। আগামীকাল সকালেই খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার আইনজীবীদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। সেদিন খালেদার জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর খালেদা জিয়ার করা আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ২২ ফেব্রুয়ারি আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং জরিমানা স্থগিত করেন। এরপর জামিন আবেদন করা হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ বিচারিক আদালতের মামলার যাবতীয় নথি তলব করেন। আদেশে ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে নথি পাঠাতে বলা হয়। সে নথি আসার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আদেশের সময় নির্ধারণ করেছিলেন। হাইকোর্টের বেধে দেওয়া সেই ১৫ দিনের শেষ দিন ছিল গতকাল রবিবার। এদিন দুপুরে মামলার নথি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালত থেকে হাইকোর্টে আসে।
এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে নথি নিয়ে আদালতের আদেশের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে খালেদার আইনজীবীরা একটি মেনশন স্লিপসহ আবেদন উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে আসা এতিমদের টাকা আত্মসাতের মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া রায়ে আসামিদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়।
সাজা ঘোষণার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন।
x

Check Also

অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়ে ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড

এমএনএ সংবাদ ডেস্ক :  মুক্তমনা ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়ে  ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ...