ফেব্রুয়ারিতেও কমল রেমিট্যান্স

এমএনএ অর্থনীতি ডেস্ক : ধারাবাহিকভাবে কমছে দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে ১২ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা (ডলারপ্রতি ৮৬ টাকা ধরে) পাঠিয়েছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। ডলারের হিসাবে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর আগের মাস জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার বা ১৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা পাঠান প্রবাসীরা। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ২১ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদকৃত তথ্য মতে, সদ্যবিদায়ি ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা ১২ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গেল বছর একই সময়ের তুলনায় ২ হাজার ৩০৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা কম। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠান ১৭৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার ১৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

অন্যদিকে চলতি ২০২২ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে ১৭০ কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৬ কোটি ডলার বা ১৬ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় কমেছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা।

প্রবাসী আয় কমার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ জানুয়ারির চেয়ে কিছুটা কমেছে, এর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। যেসব প্রবাসী দেশে আটকা পড়েছিলেন তারা এখন সেসব দেশে কাজের উদ্দেশ্যে ফিরে যাচ্ছেন। তারা পুরোদমে কাজে ফিরলে রেমিট্যান্স বাড়বে। তা ছাড়া নতুন করে অনেক দেশ কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে। আবার নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সরকার রেমিট্যান্স প্রবাহে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ করেছে। এসব কারণে সামনের দিনগুলোতে রেমিট্যান্স বাড়বে।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৭ হাজার ২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যা তার আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার কম। আগের অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম ছয় মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৯৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।